কলকাতা: আরও জটিল আর জি করের পরিস্থিতি। ক্যাম্পাস ছেড়ে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছেন বিক্ষোভরত জুনিয়র ডাক্তাররা। বেলগাছিয়া ব্রিজের উপর বিক্ষোভ জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশের। প্রিন্সিপালের ইস্তফার দাবিতে অনড় পড়ুয়া চিকিৎসকরা।
পুজো কেটে গেলেও কাটল না জট। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে এখনও চলছে পড়ুয়াদের অনশন, বিক্ষোভ। দাবি দাওয়া না মেটালে, আন্দোলন থেকে পিছপা হবেন না বলেই সাফ জানিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারীদের একাংশ। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে অচলাবস্থা অব্যাহত।
অধ্যক্ষের ইস্তফা, পরিকাঠামোগত উন্নয়ন-সহ বিভিন্ন দাবিতে এখনও আন্দোলনে অনড় চিকিৎসক-পড়ুয়াদের একাংশ। ইতিমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনশনরত পড়ুয়াদের বেশ কয়েকজন। কিছুদিন আগে আন্দোলনস্থলেই ৩ জনকে স্যালাইন দেওয়া হয়েছিল। সে সময়ে আন্দোলনকারী এক পড়ুয়া জানিয়েছিলেন, কলেজ কাউন্সিল মীমাংসা করছে না। অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে।'
এ দিকে, সমস্যা নিয়ে শুক্রবার ফের বৈঠকে বসে, কলেজ কাউন্সিল। এদিকে, আন্দোলনরত পড়ুয়াদের দাবি, কলেজ কাউন্সিল তাঁদের দাবি দাওয়া মেনে নেয়নি। তাই অনশন চালিয়ে যাবেন তাঁরা। দীর্ঘদিন ধরেই অশান্তি জারি আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তবে গত ২ অক্টোবর সাময়িকভাবে অচলাবস্থা কাটলেও দীর্ঘস্থায়ী ফল মেলেনি। ১৬ ঘণ্টা পর, ভোর ৪টে নাগাদ উঠেছিল ডাক্তারি পড়ুয়া, ইন্টার্ন ও জুনিয়র চিকিত্সকদের একাংশের ঘেরাও অবস্থান।
কিছুদিন আগে গ্রুপ ডি কর্মীদের মারধরের অভিযোগ ওঠে নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে পথ অবরোধ করেন গ্রুপ ডি কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, বিক্ষোভরত কর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। বেশ কয়েকজন আহত হন। যদিও পুলিশের বক্তব্য, ধাক্কাধাক্কিতে জখম হয়েছেন তাঁরা।
ঘটনার জেরে ধুন্ধুমার বাধে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযোগ, গ্রুপ ডি কর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। মহিলা কর্মীদের ধাক্কা দেওযা হয বলেও অভিযোগ। অশান্তির সূত্রপাত, রবিবার বিকেলে। হাসপাতালের অস্থায়ী গ্রুপ ডি কর্মীদের অভিযোগ, তাঁদেরকে মারধর করেন নিরাপত্তারক্ষীরা। প্রতিবাদে আরজি করের সামনে পথ অবরোধ করেন গ্রুপ ডি কর্মীরা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। অভিযোগ, তখনই লাঠিচার্জে আহত হন বেশ কয়েক জন। শেষমেষ হাসপাতলের সুপারের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। যদিও অশান্তির ঘটনা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা, বেসরকারি সংস্থা। কোনও মন্তব্য করতে চাননি নিরাপত্তা রক্ষীরা। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, উত্তেজনার মুহূর্তে ধাক্কাধাক্কির পরিস্থিতি তৈরি হয়। তার জেরেই সম্ভবত জখম হন কয়েক জন।