কলকাতা: দেড় মাস পর রাস্তায় বাস নামার প্রথম দিনই রেড রোডে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। বাইক আরোহীকে ধাক্কা মেরে ফোর্ট উইলিয়মের পাঁচিলে ধাক্কা মিনিবাসের। গুরুতর আহত ১৭ জন। বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাসের তলায় বেশ কিছুক্ষণ আটকে থাকেন এক বাইক চালক। বাইকে পুলিশের স্টিকার সাঁটা ছিল।পরে জানা যায় তিনি পুলিশ কর্মী। পরে ক্রেন দিয়ে মিনিবাসটিকে সরিয়ে নীচ থেকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ওই পুলিশ কর্মীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার জেরে লন্ডভন্ড হয়ে যায় মিনিবাসের ভিতরের অংশ, সিট। আহত হন ১৭ জন বাস যাত্রী। দুর্ঘটনার সময় বাসে ৩০-৩৫ জন যাত্রী ছিলেন বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, মেটিয়াবুরুজ-হাওড়া রুটের ওই মিনি বাসটি বেপরোয়া গতিতে যাওয়ার সময় ফোর্ট উইলিয়ামের গেটের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে বাইক আরোহীকে ধাক্কা মারে। পরে রেলিং ভেঙে ধাক্কা মারে ফোর্ট উইলিয়মের পাঁচিলে। আহতদের এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।দুর্ঘটনার পর যান নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন সেনা জওয়ানরা। পরে ঘটনাস্থলে আসেন পুলিশ কমিশনার। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসের মেকানিক্যাল পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে নীচে পড়ে গিয়েছিল একটি ট্যাঙ্কার। দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে ফোর্ট উইলিয়ামের ক্যাম্পাসে পড়ে গাড়িটি। গাড়ির চালক ও খালাসিকে উদ্ধার করেন সেনা জওয়ানরা। ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ওই দিন ভোরে দ্বিতীয় হুগলি সেতু দিয়ে খিদিরপুরের দিকে যাওয়ার সময় ঠিক হেস্টিংস মোড়ের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতু ভেঙে মাটিতে পড়ে যায় ওই তেলের ট্যাঙ্কার। ফোর্ট উইলিয়ামের পাঁচিলের উপরে পড়ে ট্যাঙ্কারটি। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পাঁচিলের কিছুটা অংশ। ঘটনায় ট্যাঙ্কারের চালক ও খালাসি দুই জনেই গুরুতর আহত হয়েছিলেন। তাঁদের এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশ আধিকারিকরা মনে করছেন এই ঘটনার জেরে আরও বড় বিপত্তি হতে পারত।