ময়ুখ ঠাকুর চক্রবর্তী ও আবির দত্ত, কলকাতা: জোড়াবাগান থানা এলাকার বি কে পাল অ্যাভিনিউয়ে পাথর দিয়ে থেঁতলে যুবককে খুনের চেষ্টার অভিযোগ। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই যুবককে ভর্তি করা হয়েছে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। গতকাল গভীর রাতে ওই ঘটনা ঘটে।
ফুটপাথে ক্যাম্প খাট পেতে ঘুমিয়ে থাকার সময় যুবকের মাথায় ও মুখে ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে পালায় হামলাকারী। এই ঘটনা উস্কে দিয়েছে স্টোনম্যানকাণ্ডের স্মৃতি।
স্টোনম্যানকাণ্ডের ছায়া পড়ল জোড়াবাগান থানা এলাকার বি কে পাল অ্যাভিনিউয়ে। পুলিশ সূত্রে খবর, রাস্তার ধারে ক্যাম্পখাট পেতে শুয়ে থাকা যুবকের মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে পালায় অজ্ঞাত পরিচয় আততায়ী। গুরুতর আহত যুবক ভর্তি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
জোড়াবাগান থানা এলাকার বি কে পাল অ্যাভিনিউয়ে এই ঘটনা ঘটেছে মঙ্গলবার রাত ৩টে নাগাদ। পুলিশ সূত্রে খবর, ২৬ বছরের ওমপ্রকাশ শর্মার বাবার ছোট হোটেল রয়েছে ফুটপাথের ধারে। অন্যান্যদিনের মতো মঙ্গলবার রাতেও হোটেলের বাইরে ক্যাম্পখাটে ঘুমিয়েছিলেন ওমপ্রকাশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, আচমকাই অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ী তাঁর মাথায় ও মুখে ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে। যুবকের আর্তনাদ শুনে ছুটে এসে প্রতিবশীরা দেখেন, তাঁর মুখ ও মাথা রক্তাক্ত।
স্থানীয় বাসিন্দারাই খবর দেন জোড়াবাগান থানায়। পুলিশ ওই যুবককে উদ্ধার করে প্রথমে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
জোড়াবাগান থানা ছাড়াও লালবাজারের হোমিসাইড শাখা ও সায়েন্টিফিক উইং তদন্তে নেমেছে। খুনের চেষ্টার অভিযোগে দায়ের হয়েছে মামলা।
এই ঘটনা উস্কে দিয়েছে স্টোনম্যানকাণ্ডের স্মৃতি। ১৯৮৯ সালে কলকাতার বিভিন্ন ফুটপাথে ১৩ জন গৃহহীন ব্যক্তি স্টোনম্যানের শিকার হন। মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয় তাঁদের।
এর আগে, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেও, একইভাবে এক মহিলাকে ‘স্টোনম্যান’-এর কায়দায় মাথা থেঁতলে খুন করা হয়েছিল। দেহ উদ্ধার হয়েছিল ময়দান চত্বরে।