কলকাতা: ভারতে ওমিক্রন উদ্বেগ, নবান্নে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক মুখ্যসচিবের। শুধু আন্তর্জাতিক নয়, দেশীয় বিমানের ক্ষেত্রেও আরটিপিসিআর (rtpcr) বাধ্যতামূলক। বাংলাদেশ (bangladesh), সিঙ্গাপুর থেকে কলকাতায় আসা বিমানে নজরদারি রাখার নির্দেশ। বেলেঘাটা (beleghata) আইডিতে বিশেষ ওমিক্রন রুম তৈরির নির্দেশ রাজ্য সরকারের। বোঝাই যাচ্ছে যে এবার রাজ্যেও ওমিক্রন নিয়ে রীতিমতো আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সরকার।
এদিকে, উদ্বেগ বাড়াচ্ছে সক্রমণ। কেন্দ্র শাসিত দাদরা (Dadra), নগর হাভেলি (Nagar Haveli), দমন ও দিউতে (Daman and Diu) নাইট কার্ফু (Night Curfew) ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government)। সংক্রমণের বারবারন্ত রুখতেই এই পদক্ষেপ। গতকাল অর্থাৎ ২ ডিসেম্বর থেকে লাগু হয়েছে এই নির্দেশিকা। জানানো হয়েছে, ২ ডিসেম্বর রাত ১১ টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত চলবে কার্ফু। এই নির্দেশিকা বহাল থাকবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
উল্লেখ্য, ব্যাঙ্গালোরে (Bangalore) ২ জন কোভিডের (Covid-19) ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে (Omicron Variant) আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। সূত্রের খবর, ওই দু-জনের সংস্পর্শে কারা কারা এসেছিলেন, তার তালিকা তৈরি করেছে কর্ণাটকের স্বাস্থ্য দফতর (karnataka Health Ministry)। তাতে দেখা যাচ্ছে, প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে এসেছেন ৩৭ জন। আর ৪৪৫ জন এসেছেন পরোক্ষ সংস্পর্শে। যে ৩৭ জন প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে এসেছেন, তাঁদের মধ্যে ৩ জন কোভিড পজিটিভ। পরোক্ষ সংস্পর্শে আসা ৪৪৫ জনের মধ্যে করোনা পজিটিভ হয়েছেন ২ জন। এই পাঁচ জন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে (Omicron Variant) সংক্রমিত কি না, তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
কর্ণাটকে যে দু’জনের শরীরে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়্যান্ট ওমিক্রন ধরা পড়েছে, তাঁদের মধ্যে একজন দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিক যিনি করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ হওয়ার পর দেশ ছাড়েন। অপর একজন স্থানীয় বাসিন্দা। তিনি আবার পেশায় চিকিৎসক। তিনি সম্প্রতি বিদেশে যাননি। অথচ তিনিও ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: নির্মীয়মাণ বহুতলে মহিলার রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার, এখনও মৃতের পরিচয় জানতে পারেনি পুলিশ