সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: উৎসবের মরশুমে অগ্নিমূল্য বাজার। গড়ে ১০-৩০ টাকা দাম বেড়েছে সবজির। পটল, ঢেঁড়শ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। টোম্যাটো ৮০ টাকা প্রতি কিলো, বেগুন ৭০-১০০ টাকা প্রতি কিলো, করলা, উচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। চড়ছে পেঁয়াজের দামও। 



এদিকে, পেঁয়াজের যা দাম বেড়েছে তা চোখে জল আনার জোগার। প্রতি কিলো ৪০-৫০ টাকায় বিকোচ্ছে পেঁয়াজ। পেট্রোল-ডিজেল, রান্নার গ্যাসের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এবার সবজির বাজারও চড়তে শুরু করায় পকেটে টান পড়ার আশঙ্কা করছেন মধ্যবিত্ত ক্রেতারা।                       


প্রতিদিনই রেকর্ড ভাঙছে জ্বালানির দাম। শনিবার আরও একবার রেকর্ড ছুঁল পেট্রোল-ডিজেলের দাম। আজ কলকাতায় লিটারপ্রতি পেট্রোলের দাম ২৯ পয়সা ও ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি ৩৫ পয়সা বাড়ল। এর ফলে কলকাতায় পেট্রোলের দাম লিটারে ১০৪ টাকা ৫২ পয়সা হল। ডিজেলের নতুন দাম হল লিটারে ৯৫ টাকা ৫৮ পয়সা।              


উৎসবের মরশুমে এভাবে জ্বালানির দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় জিনিসপত্রেরও দাম বাড়ার আশঙ্কা করছে আমজনতা। মুম্বইয়ে ইতিমধ্যেই সেঞ্চুরি পার করেছে ডিজেলের দাম। পেট্রোলের দাম ১১০ ছুঁইছুঁই। 


গত বছর করোনা-লকডাউনের জেরে ঢাকের ব্যবসায় ভাঁটা ছিল। এবার সেই খরা কাটিয়ে পেটের টানে ফের শহরমুখী হয়েছে ঢাকিরা। তাঁরা জানেন বায়না হলেই মিলবে টাকা। প্রতিবার এই সময়েই ঢাকিরা আসেন কলকাতায়। বছরের এই সময়টাই যা রোজগার হয়। যেটুকু সঞ্চয় তা নিয়েই গ্রামে ফিরে প্রিয়জনের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করেন তাঁরা। সেই আশাতেই সারা বছর দিন গোনা। 


করোনা আবহে উৎসবের মরশুমে সতর্ক পুলিশ। পুজো উদ্যোক্তাদের জন্য কলকাতা পুলিশের ফেসবুকে পেজে রয়েছে সতর্কবার্তা। সর্তকবার্তায় বলা হয়েছে, পুষ্পাঞ্জলির জন্য দর্শনার্থীদের বাড়ি থেকে ফুল আনতে অনুরোধ করতে হবে পুজো কমিটিগুলিকে। মূলত ভিড় এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত।