পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: কাঁকুলিয়া হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার। মুম্বই থেকে ভিকিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। একটি ৪৮ তলা নির্মীয়মান বহুতলের পার্কিং লট থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। সূত্র মারফত খবর পেয়ে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার ভিকির সঙ্গী শুভঙ্কর মণ্ডলও। ট্রানজিট রিমান্ডে দুজনকে কলকাতা নিয়ে আসা হচ্ছে।
গত ১৮ অক্টোবর সাতসকালে শহরের প্রাণকেন্দ্রে জোড়া খুনে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। গড়িয়াহাট থানার কাঁকুলিয়া রোডে বাড়ির মধ্যে থেকে জোড়া দেহ উদ্ধার ঘরে উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল। জানা গেছে, রক্তাক্ত দেহ দুটি বাড়ির মালিক ও তাঁর চালক। মৃত ২ জনের নাম সুবীর চাকি ও তাঁর চালক রবীন মণ্ডল। পুলিশ সূত্রে খবর, কাঁকুলিয়া রোডে ওই পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রির কথা চলছিল। ঘটনার আগের দিন বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ নিউটাউনের বাড়ি থেকে কাঁকুলিয়া রোডের বাড়িতে আসেন বছর একষট্টির প্রৌঢ় ও তাঁর গাড়িচালক। সম্পত্তি বিক্রি নিয়ে আলোচনার জন্য ফোনে কাউকে ডাকা হয়। সন্ধে থেকেই মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যায় প্রৌঢ় ও গাড়িচালকের। পরিবারের সদস্যরা প্রতিবেশী ও গড়িয়াহাট থানায় বিষয়টি জানান।
এরপরই পুলিশ এসে একতলা থেকে মালিক ও দোতলা থেকে চালকের দেহ উদ্ধার করে। দেহদুটির ঘাড়, কবজি ও পায়ে গভীর ক্ষত ছিল। খুনের নেপথ্যে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদ রয়েছে কি না খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আপাতত অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। তদন্তে নেমেছিল লালবাজারের হোমিসাইড শাখাও।
এদিকে, আগ্নেয়াস্ত্রসহ এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল বামনগোলা থানার পুলিশ। রবিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বামনগোলা থানার পাকুয়াহাট এলাকা থেকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ ওই দুষ্কৃতীকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ধৃতর নাম ইউসুফ শেখ (২৫)। বাড়ি কালিয়াচক থানার নাজিরপুর নবীনগর এলাকায়। ধৃতের কাছ থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে দুটো পাইপগান এবং তিন রাউন্ড কার্তুজ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান অসামাজিক কাজকর্ম করার জন্য ওই দুষ্কৃতী হয়ত সেখানে উপস্থিত হয়েছিল। এদিন ধৃতকে মালদা জেলা আদালতে পেশ করা হবে। পুলিশি হেফাজতেই রয়েছে সেই দুষ্কৃতী।