আবীর দত্ত, কলকাতা: করোনা অতিমারীতে অনেকেই গৃহবন্দি। চাকরি গেছে বহু মানুষের। কারও কারও আবার পড়েছে বেতনে কোপ। এই পরিস্থিতিতে বাড়ি বসে রোজগারের সুযোগ খুঁজছেন অনেকেই। আর এই চাহিদাকে কাজে লাগিয়েই এক নতুন জালিয়াতি চক্র ফেঁদে বসেছিল গুজরাতের দুই ব্যক্তি। জাল ছড়িয়েছিল এই রাজ্যেও। অনলাইনে বাড়ি বসে ডেটা এন্ট্রির কাজ ! এই ধরনের বিজ্ঞাপনে আকর্ষিত হয়ে অনেকেই যোগাযোগ করতেন । ব্যস ফাঁদ ওখানেই পাতা !! 


সোশাল মিডিয়ায় ওয়ার্ক ফ্রম হোমের বিজ্ঞাপন দিয়ে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে ভিনরাজ্য থেকে ওই ২ জনকে গ্রেফতার করল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে মোবাইল ফোন ও বেসরকারি ব্যাঙ্কের প্রচুর ডেবিট কার্ড।


অভিযোগ, সোশাল মিডিয়ায় ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের চাকরির নামে নিয়োগ করার পর, প্রথমে পাঠানো হত অ্যাসাইনমেন্ট । তারপর কাজে ভুল হয়েছে দেখিয়ে চাপ দিয়ে হাতিয়ে নেওয়া হত টাকা। আইনজীবী মারফত চিঠি পাঠিয়ে বলা হত ভুল এন্ট্রি করা হয়েছে । আইনজীবী মারফত যে  চিঠিটি পাঠানো হতো সেটি ও ভুয়ো ছিলো এই ভাবেই ভয় দেখিয়ে টাকা নিতো তোলাবাজি করত বলে অভিযোগ । 


গত ১৬ ই জুলাই  প্রতারিত হওয়া এক ব্যক্তি বিধান নগর সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। তদন্তে নেমে সুরাত থেকে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। করোনা অতিমারির সুযোগ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করার অভিযোগ ওই দুজনের বিরুদ্ধে। ধৃত দুজনের নাম চন্দন বাবু ভাই লাঠিয়া এবং ভাগানি চিন্তান ভরত। এই চক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িয়ে কি না খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ওই জালে পা দিয়ে আর কতজন প্রতারণার শিকার হয়েছেন, তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। 

শনিবার তাদের বিধাননগর আদালতে তোলা হচ্ছে এবং নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হচ্ছে । এই ঘটনার সঙ্গে একটি বড়সড় চক্র জড়িত আছে বলে পুলিশ জানতে পেরেছে । তাদেরও খোঁজ চালানো হচ্ছে।