সমিত সেনগুপ্ত, কলকাতা: নিউটাউনে তৈরি হল নতুন ওয়ার্ক পড। যেখানে বসে, করা যাবে অফিসের কাজ। থাকছে নিজস্ব ডেস্ক, AC, ওয়াইফাইয়ের সুবিধা। এর জন্য ১ ঘণ্টায় দিতে হবে ২০ টাকা। এক মাসের জন্য প্রায় ৪ হাজার টাকা।


করোনার কারণে, গত দেড় বছরে, বদলে গেছে কর্মক্ষেত্রের চেহারা। অফিস পাড়ার পরিচিত দৃশ্য এখন উধাও। তার বদলে, এখন বাড়ি থেকেই কাজ। কিন্তু, যাঁদের ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সুবিধা নেই! জায়গার অভাব, কিম্বা নেটওয়ার্কের সমস্যা। তাঁদের কথা ভেবে, এবার নিউটাউনে তৈরি হল ওয়ার্ক পড। 


নিউটাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটির পাশে, হিডকোর উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে এই ওয়ার্ক স্টেশন। এখানে মূলত কাজের জন্য জায়গা ভাড়া দেওয়া হয়। এসি রুমে রয়েছে সেপারেট ডেস্ক। ওয়াইফাইয়ের সুবিধা।  


একজনের, এক ঘণ্টা এখানে বসে কাজ করতে হলে, দিতে হবে ২০ টাকা। দেড় ঘণ্টার জন্য দিতে হবে ৩০ টাকা। সারা মাসের জন্য বুক করতে হলে লাগবে, জিএসটি ছাড়া ৩ হাজার ৯৯৯ টাকা। শুক্রবার এই ওয়ার্ক পডের উদ্বোধন করেন ফিরহাদ হাকিম।


পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, আপাতত কোভিড প্রোটোকল মেনে, ২০টি ডেস্ক নিয়ে তৈরি হয়েছে এই ওয়ার্ক স্টেশন। আগামী দিনে, আরও ২টো এরকম ওয়ার্ক পড তৈরি করা হবে বলে হিডকো সূত্রে খবর।


তবে শহরে এই সুযোগ থাকলেও ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সুযোগ চাইলে বেতন কাটা যেতে পারে গুগল কর্মীদের। করোনা অতিমারিতে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের শুরু। দীর্ঘদিন এই ব্যবস্থায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন কর্মীরা। কিন্তু, এখন কেউ স্থায়ীভাবে এই সুযোগ নিতে চাইলে বেতন কাঠামোয় পরিবর্তন আসবে। এক্ষেত্রে যাঁরা অনেক দূর থেকে যাতায়াত করেন, তাঁরা ভীষণভাবে সমস্য়ায় পড়বেন। একটি সংস্থার পে ক্যালকুলেটরের ভিত্তিতে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে রয়টার্সে।


ফেসবুক ও ট্যুইটার সেইসব কর্মীর বেতন কাটে যাঁরা কম খরচাবহুল জায়গায় গিয়ে বসবাস করেন। অ্যালফাবেট ইঙ্কস গুগল কর্মীদের সেই হিসেবের জায়গা দেয় যার মাধ্য়মে তাঁরা দেখতে পাবেন, স্থানান্তরের প্রভাব কী হবে। কিন্তু, দূর থেকে যেসব কর্মী যাতায়াত করেন, তাঁরা বেতন কাটার মতো সমস্যার সম্মুখীন হন। 


গুগলের এক মুখপাত্র বলেন, লোকেশন অনুযায়ী আমাদের ক্ষতিপূরণ প্যাকেজ নির্ধারিত হয়। তাছাড়া একজন কর্মী কোথা থেকে কাজ করছেন, সেখানকার স্থানীয় বাজারের উপর নির্ভর করে সর্বোচ্চ বেতন দেওয়া হয়। শহর ও রাজ্যের উপর ভিত্তি করে বেতন দেওয়া হয়।