পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: নবান্ন অভিযানে আহত ডিওয়াইএফআই নেতার মৃত্যু নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাল বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস। বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী এই মৃত্যুকে 'খুন' বলে যেখানে উল্লেখ করলেন, সেখানে রাজ্য সরকারকে স্বৈরাচারী বলে আক্রমণ করলেন কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান। 


সুজন বলেন, 'এটা তো খুন। নবান্নের সাহস হল না ছাত্র যুবদের কথা শোনার। তাঁদের ওপর বেধড়ক আক্রমণ করা হয়। গরিব মানুষকে নিয়ে লড়াই। জলজ্যান্ত ছেলেকে লাশ বানিয়ে দিল, আর কত লাশ চাই সরকারের? ক্ষমতা দেখিয়ে খুন করেছে।"


আরও পড়ুন:


DYFI Protester Death: টোটো চালক মইদুলের রোজগারেই চলত সংসার, তাঁর মৃত্যুতে দিশাহারা পরিবার


মান্নান বলেন, "গণ আন্দোলন দমন করতে গিয়ে যা দেখাল স্বৈরাচারী সরকার, ধিক্কার জানানোর ভাষা নেই। আরও অনেকেই আহত হয়েছেন, কেউ কেউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ছেলেটি কোনওরকম অরাজকতা করেনি, প্রশাসনের কারোর গায়ে হাত তোলেনি, কী উত্তর দেবে সরকার? নবান্ন অভিযানের অধিকার আছে সবার। কিন্তু এভাবে একজন নিরীহ মানুষের প্রাণ চলে গেল, কে জবাব দেবে?"


বামেদের অভিযোগ, নবান্ন অভিযানের দিন ওই যুব নেতাকে পুলিশ ব্যাপক মারধর করে। সেই মারধরের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন বাঁকুড়ার কোতুলপুরের বাসিন্দা, ৩১ বছরের মইদুল ইসলাম মিদ্যা।  তাঁকে প্রথমে ভর্তি করা হয় সিপিএম নেতা তথা চিকিত্‍সক ফুয়াদ হালিমের ক্লিনিকে। 


দেহে লাঠির আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে অভিযোগ করেন ফুয়াদ হালিম। তিনি বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত হয় কিডনি, জল জমে ফুসফুসেও। মারধর ছাড়া মৃত্যুর অন্য কারণ নেই।'


আরও পড়ুন:


Nabanna Abhijaan: নবান্ন অভিযানে আহত বাম যুবকর্মীর মৃত্যু, ‘মারধর ছাড়া অন্য কারণ নেই’, অভিযোগ ফুয়াদের


গত ১৩ ফেব্রুয়ারি শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে ক্যামাক স্ট্রিটের এক নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয় তাঁকে।  আজ সকাল ৭টা নাগাদ ওই বাম যুব নেতার মৃত্যু হয়। ঘটনা নিয়ে লালবাজার সূত্রে জানানো হয়েছে,  বিষয়টি সম্পর্কে জানা নেই। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। 


ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে পুলিশ মর্গে।  পুলিশ সূত্রে খবর, ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে হবে ময়নাতদন্ত। পাশাপাশি, ময়নাতদন্তের গোটা প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফি করা হবে।