কলকাতা: বঙ্গ সফরে এসে বিতর্কে জড়ালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বিষয় এবার রাষ্ট্রীয় সঙ্গীত। মূলত গতকাল কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের শেষ প্রচার সেরে রাতে কলকাতায় আসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আর রবীন্দ্র জয়ন্তীতে শাহ বক্তব্য ঘিরে উঠল বিতর্কের ঝড়। এদিন  ট্যুইটে এই রাষ্ট্রীয় সঙ্গীত নিয়েই শাহ-কে জোর নিশানা করেছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। পাশাপাশি নাম না করেই কটাক্ষ করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। যদিও এই ইস্য়ুতে ঢাল হয়ে ময়দানে বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি ইন্দ্রনীল খান । 


কী বলেছিলেন অমিত শাহ ?


এবার প্রশ্নটা হল ঠিক কী বলেছিলেন অমিত শাহ ? এই ইস্যুতে শাহ-র বক্তব্যের একটি ভিডিও আপলোড করেছেন মহুয়া মৈত্র। মূলত তাঁর দাবি, অমিত শাহ বলেছেন, পুরো বিশ্বে, কবি গুরু একমাত্র সেই ব্যক্তি, যার দুই দেশের রাষ্ট্রীয় সঙ্গীত লেখার সম্মান প্রাপ্ত হয়েছে।' আর এখানেই তীব্র আক্রমণ করেন তৃণমূল সাংসদ। 






'রবিঠাকুর কিন্তু আপনাকে 'যা-তা' বলতেন', বললেন মহুয়া মৈত্র


মহুয়া মৈত্র ট্যুইটে বলেন, 'দুঃখিত, মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ভারতের রাষ্ট্রীয় সঙ্গীত কিন্তু 'বন্দে মাতরম্', লিখেছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্য়ায়। আর বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সঙ্গীত হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা, 'আমার সোনার বাংলা'। রবিঠাকুর কিন্তু আপনাকে 'যা-তা' বলতেন। দয়া করে স্কুলে ফিরে যান। ট্যুইটে কটাক্ষ তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের।


'ভুল' ধরিয়ে দিলেন বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি ইন্দ্রনীল খান ?


পাল্টা ট্যুইট করে বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি ইন্দ্রনীল খান বলেন, 'মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভিডিওটি শেয়ার করার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসকে ধন্যবাদ। সেখানে দেখা যাচ্ছে তিনি একদম সঠিকভাবেই বলেছেন ভারত এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রগীত অর্থাৎ জাতীয় সঙ্গীত কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা। এর থেকেই প্রমাণিত হয় যে তৃণমূল দেশের ভাষা সম্বন্ধে কিছুই জানে না। এরকমই ব্যুমেরাং হয়, যখন পার্থ, কুন্তল কিংবা শান্তনুর মত দলের নেতারা দেশের ভাষা না শিখে, টাকা লুঠ আর বিজেপিকে আকারণে আক্রমণে ব্যস্ত থাকে। এতে বিস্ময়ের কিছু নেই যে, গোয়া, মেঘালয়, ত্রিপুরায় পরপর হারের পর, তৃণমূলের থেকে জাতীয় দলের তকমা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।' 






কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রীর


 এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'নাম না জেনেও শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মস্থান বলা যায়। বিদ্যাসাগরের মূর্তিও ভেঙে ফেলা যায়, লিখে নিয়ে এসে বড় বড় কথা বলা যায়। ভোটের প্রয়োজনে না জেনেও অনেক কথা বলা যায়,   কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বঙ্গ সফরের মধ্যেই নাম না করে কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রীর। 


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?


আরও পড়ুন, গরমে কোন সরবতগুলি না খেলেই নয় ? কোনগুলি খুবই স্বাস্থ্যকর ?