নদিয়া: নাবালিকার ধর্ষণকে ‘ছোট ঘটনা’ বলে উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে সর্বত্র। সেই পরিস্থিতিতে মমতার একেবারে বিপরীত অবস্থানে দেখা গেল তাঁরই দলের সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে। সাফ জানালেন, মেয়েটি হ্যাঁ বলেছিল, নাকি না বলেছিল, এ সবের কোনও গুরুত্ব নেই। নাবালিকার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক মানেই আইনের চোখে তা অপরাধ।
হাঁসখালির অভিযুক্তের রাজনৈতিক পরিচয়ে কিছু যায় আসে না, বললেন মহুয়া
মঙ্গলবার নদিয়ার হাঁসখালিতে নির্যাতিতার বাড়িতে যান মহুয়া। দল এই ধরনের ঘটনা সমর্থন করে না বলে সেখানেই জানিয়ে দেন তিনি। এর পর এবিপি আনন্দের মুখোমুখি হয়ে কোনওরকম রাখঢাক করেননি মহুয়া। তাঁর সাফ বক্তব্য, “ঘটনাটি ভীষণই নক্ক্যারজনক। যে এই ঘটনা ঘটিয়েছে, সে দুষ্কৃতী। তার অন্য কোনও পরিচয় হতে পারে না। রাজনৈতিক পরিচয় দেখতেও চাই না আমি। যে এই ঘটনা ঘটিয়েছে, সে মোটেই নাবালক নয়। বয়স ২১-এর উপরে।”
১৪ বছরের মেয়ের সঙ্গে এমন ঘটনা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না বলে সাফ জানিয়ে দেন মহুয়া। তাঁর কথায়, “পকসো আইন (যৌন নির্যাতন থেকে শিশু সুরক্ষা আইন) কী বলে! সম্মতিক্রমে কোনও নাবালিকার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক হলেও, আইনের চোখে তা অবৈধ, ধর্ষণ। তাই মেয়েটি হ্যাঁ বলেছ, নাকি না বলেছে, আইন তা দেখে না। এটা ধর্ষণ। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। একটি ১৪ বছরের মেয়ে এ ভাবে মারা গিয়েছে।”
আইন আইনের পথে চলবে, ঘোষণা মহুয়ার
হাঁসখালিপ অভিযুক্তের সঙ্গে শাসকদলের যোগসাজশকে ইতিমধ্যেই কাঠগড়ায় তুলেছেন বিরোধীরা। অভিযুক্তের বাবা তৃণমূলের নেতা, তাই মেয়েটির মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয় বলেও অভিযোগ সামনে এসেছে। কিন্তু মহুয়া সাফ জানিয়েছেন, চাইল্ডলাইনে ফোন করার পর বিষয়টি সামনে আসে পুলিশকে এ নিয়ে কিছুই জানানো হয়নি। সন্দেহজনক মৃত্যুর কথাও ফোন করে জানাননি কেউ। এই ঘটনায় অভিযুক্ত বা কারও পিছনে দাঁড়ানোর কোনও প্রশ্ন ওঠে না। অপরাধীকে শাস্তি দিতে যা করার পুলিশ করতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।