কলকাতা: 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের সামনে কেঁদে কেঁদে বলছে, এবারে যদি ভোট না দেবেন, তাহলে আমি মুখ্যমন্ত্রী হতে পারব না। অন্য কেউ হয়ে যাবে।' সদর স্ট্রিটে প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালের হয়ে নির্বাচনী প্রচারের জনসভায় এভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে আক্রমণ শানালেন রাহুল সিনহা।


সামনেই উপনির্বাচন। চলছে শেষ অধ্যায়ের নির্বাচনী জনসভা। সদর স্ট্রিটে বিজেপির নির্বাচনী জনসভায় রাহুল সিনহা বলেন,  'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের সামনে কেঁদে কেঁদে বলছে, এবারে যদি ভোট না দেবেন, তাহলে আমি মুখ্যমন্ত্রী হতে পারব না। অন্য কেউ হয়ে যাবে। নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিল, আমি দিদিকে হারিয়েই ছাড়ব। শুভেন্দু অধিকারী বাংলার সব থেকে মহান কাজ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরাজয় করে দেখিয়েছেন।'


ভবানীপুরে উপনির্বাচনের আগে এটাই শেষ রবিবার। ছুটির দিনের জনসংযোগ ছাড়তে নারাজ ছিল সব দলই। আজ সকাল থেকেই দফায় দফায় সুর চড়িয়েছে দলগুলি। কখনও সদর স্ট্রিট, কখনও যদুবাবুর বাজার। দফায় দফায় জনসভা করেছেন শুভেন্দু, মমতা, অভিষেক থেকে রাহুল সিনহা। সবমিলিয়ে দিনভর রাজনৈতিক মহলের উত্তেজনা ছিল চরমে। 


ভবানীপুর উপনির্বাচনের আগে শেষ রবিবারের প্রচারে হুঁশিয়ারি দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দরজা খুলে দিলে বিজেপি উঠে যাবে।' পাল্টা কটাক্ষ ছুড়ে দিয়ে বিজেপির মন্তব্য, 'জওহরলাল, ইন্দিরা গান্ধীরা পারেননি, তৃণমূল কে?'


আজ ভবানীপুরের কংগ্রেসকে বিঁধেছেন তৃণমূল নেত্রী। এ দিন তিনি বলেন, 'কংগ্রেস ছেড়েছিলাম। কারণ সিপিএমের সঙ্গে কংগ্রেসের আঁতাঁত ছিল। বিজেপির সঙ্গেও আছে।' জাতীয়স্তরে তৃণমূলই একমাত্র বিকল্প বলে সুর চড়ান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। কটাক্ষ করেছে বিজেপিও।


ভবানীপুরে রবিবাসরীয় প্রচারের উত্তাপ চরমে পৌঁছয়। হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে সিপিএম প্রার্থীর প্রচার ঘিরে তুলকালাম বাঁধে। ১৪৪ ধারার কথা বলে পুলিশ পথ আটকাতেই বেঁধে যায় বচসা-ধস্তাধস্তি। অম্বেডকর কলোনিতে মুখোমুখি বিজেপি ও তৃণমূল। নর্দার্ন পার্কে তৃণমূল সমর্থকের কাছে ভোট চাইতে গিয়ে অস্বস্তিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।


ভবানীপুর উপনির্বাচনে ভোজ-রাজনীতি। ভোট প্রচারে এসে দলীয় নেতার বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারলেন বিজেপি সাংসদ মনোজ তিওয়ারি। খাওয়ায় অসুবিধা নেই। কিন্তু, মানুষ ভোট দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই। পাল্টা কটাক্ষ করেছেন পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।