কলকাতা: হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সন্ধ্যায় তাঁকে ছুটি দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয় হাসপাতালের তরফে।


এসএসকেএমের মেডিক্যাল বুলেটিনে বলা হয়, "হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বারবার তিনি ছুটি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। চিকিৎসায় তিনি সাড়া দিয়েছেন। মমতার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তবে বাড়ি ফিরে ওঁকে সব বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। নিয়ম মেনে উনি চলাফেরা করতে পারবেন।" 


 হাসপাতাল সূত্রে খবর, এদিন প্লাস্টার কেটে দেখা যায়, মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে ফোলা কমেছে। আজ নতুন করে মমতার পায়ে প্লাস্টার করা হয়।


এরপরই দুপুরে বাড়ি ফেরার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন মমতা। সূত্রের খবর, আজ চিকিৎসকদের কাছে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন মমতা। চিকিৎসকরাও জানান, বাড়ি ফেরার মতো অবস্থায় এসে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। 


তারপর থেকেই এসএসকেএম থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি শুরু হয়। চিকিৎসকদের মতে, বাড়িতে রেখেও ২-৩ দিন তাঁর চিকিৎসা করা যায়। বাড়িতে কীভাবে থাকতে হবে মমতাকে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। 



কিছুদিন মুখ্যমন্ত্রীকে হুইল চেয়ার ব্যবহার করতে হবে। বিশেষ ধরনের চটি পরে হুইলচেয়ার ব্যবহার করা যাবে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্রাথমিকভাবে নতুন চটি, হুইলচেয়ারে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন মুখ্যমন্ত্রী বলে জানা গিয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘আমি চটি পরি, আমি চটিই পরব।’


বাড়িতে মমতার চিকিৎসার পরিকাঠামো তৈরি নিয়ে আলোচনা চলে তারপরই মুখ্যমন্ত্রীকে রিলিজ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।  


গত ১০ মার্চ নন্দীগ্রামে মনোনয়ন পেশ করার পর পড়ে গিয়ে পায়ে-কোমরে চোট পান মমতা। নন্দীগ্রাম থেকে কলকাতায় ফিরে আসেন তিনি। রানিচকের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান থেকে ফেরার সময় তাঁকে ৪-৫ জন ইচ্ছাকৃতভাবে ধাক্কা মারে বলে অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।


তৃণমূল নেত্রীর অভিযোগ নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা বলে মন্তব্য করেছে বিরোধীরা। 


পায়ে-কোমরে চোট পাওয়ার পর গ্রিন করিডর করে মমতাকে কলকাতায় ফেরানো হয়। নিয়ে যাওয়া হবে এসএসকেএমে। মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসায় পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়।


ওই বোর্ডে ছিলেন সার্জারি, অর্থোপেডিক, এন্ডোক্রিনোলজিস্ট, মেডিসিন ও কার্ডিওলজি বিভাগীয় প্রধানরা।