সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: রাজ্যে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের তদন্তে গঠিত সিট-এর মাথায় থাকছেন কলকাতা ও বোম্বে হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর। তিনি সিট-এর তদন্তের তদারকি করবেন। আদালত সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে সুপ্রিম কোর্টের কোনও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে না পাওয়ার কারণে হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকেই নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৫ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ। এর আগে নারদকাণ্ডের মূল মামলার শুনানি হাইকোর্টের তত্কালীন প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুরের এজলাসেই হয়েছিল।
ভোট পরবর্তী অশান্তির তদন্তভার নেওয়ার একসপ্তাহের মাথায় রামপুরহাট আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। গতকালই ভোট পরবর্তী অশান্তির মামলার তদন্তে ১০ আইপিএস-কে নিয়ে সিট গঠনের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নবান্ন।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সুপারিশে, ভোট পরবর্তী অশান্তির ঘটনায় গুরুতর অভিযোগের ক্ষেত্রে সিবিআই ও অন্যান্য অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগের ক্ষেত্রে SIT গঠনের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। ইতিমধ্যেই রাজ্যের নানা প্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছে। জোরকদমে চলছে তদন্তও। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার বীরভূমের নলহাটিতে বিজেপি কর্মী মনোজ জয়সওয়াল হত্যা মামলায় ৪ জনের বিরুদ্ধে রামপুরহাট আদালতে চার্জশিট জমা দেয় সিবিআই।
চার্জশিটে তৃণমূল কর্মী মইনুদ্দিন শেখ ও ইরফান শেখ-সহ ৪ জনের নাম আছে। মাত্র একসপ্তাহ আগেই, পুলিশের হাত থেকে এই মামলার তদন্তভার নিয়েছিল সিবিআই। আর সিবিআই এর যখন একটি মামলায় চার্জশিটও জমা দেওয়া হয়ে গেল, তখন সবে মাত্র নবান্ন থেকে SIT গঠনের বিজ্ঞপ্তি জারি হল বৃহস্পতিবার। রাজ্যকে ৫টি জোনে ভাগ করে তদন্ত করবে SIT। নবান্ন সূত্রের খবর,
এই ৫টি জোনের মধ্যে হেডকোয়ার্টার জোনের দায়িত্বে থাকবেন IPS - সোমা দাস মিত্র ও শুভঙ্কর ভট্টাচার্য
কলকাতা জোনের দায়িত্বে IPS - তন্ময় রায়চৌধুরী ও নীলাঞ্জন বিশ্বাস। IPS ডি পি সিংহ ও প্রবীণকুমার ত্রিপাঠী সামলাবেন নর্থ জোনের দায়িত্ব। ওয়েস্ট জোনের তদন্তভার IPS সঞ্জয় সিংহ ও ভরতলাল মীনা-র কাঁধে। সাউথ জোনে SIT-র তদারকি করবেন IPS সিদ্ধিনাথ গুপ্তা ও প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়।
সৌমেন মিত্র, সুমনবালা সাহু, রণবীর কুমার। এই ৩ আইপিএসকে নিয়ে সিট গঠন করেছিল হাইকোর্ট।
এই তিনজনকে তদন্তে সহযোগিতা করবেন, বাকি ১০ জন আইপিএস অফিসার। কিন্তু, সিবিআই যখন চার্জশিট দাখিল করে ফেলল, তখন রাজ্য সরকারের সবে বৃহস্পতিবার সিটের বিজ্ঞপ্তি জারি করল কেন? কেন এত গড়িমসি? প্রশ্ন তোলে বিজেপি।