কলকাতা: ফের শহরে অগ্নিকাণ্ড। এবার ২১ নম্বর তপসিয়া রোডে রবারের জুতোর কারখানায় আগুন। ভস্মীভূত কারখানার একাংশ। ভোর ৪টে নাগাদ আগুন লাগে। কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুনের গ্রাসে চলে যায় গোটা কারখানা। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারপাশ। এরই মধ্যে কারখানার পাঁচিলের একাংশ ভেঙে পড়ে। স্থানীয়রাই কারখানার ছাদ ভেঙে নিরাপত্তা রক্ষীকে উদ্ধার করেন। দমকলের ১০টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে। ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন লাগায় দমকল কর্মীদের আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে জ্যোতি সিনেমার কাছে লেনিন সরণীতে আগুন লাগে। লেনিন সরণীতে একটি বাড়িতে আগুন লাদে। ঘটনাস্থলে যায় দমকলের ৮টি ইঞ্জিন। পুরো এলাকা ভরে যায় ধোঁয়ায়। এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই।
এর আগে গত ৮ মার্চ স্ট্র্যান্ড রোডে ভয়াবহ আগুন নেভাতে গিয়ে, আগুনের গ্রাসেই প্রাণ হারালেন কয়েকজন দমকলকর্মী। রেলের কয়লাঘাট ভবনে ভয়াবহ আগুন লেগেছিল। বদ্ধ লিফটের মধ্যে থেকে উদ্ধার হল মৃতদেহ। স্ট্র্যান্ড রোডে পূর্ব রেলের অফিসে প্রায় ১০ ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। সেই আগুনে ২টি লিফটে আটকে ঝলসে মৃত্যু হয় ৯ জনের।
কয়লাঘাটের ওই অগ্নিকাণ্ড নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছিল চাপানউতোর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ করেছিলেন। স্ট্র্যান্ড রোডে রেলের অফিসে অগ্নিকাণ্ডে ৯ জনের মৃত্যুর দায় কার? রেলের গাফিলতির অভিযোগ উড়িয়ে খবর পেয়েও দমকলের বিরুদ্ধেই দেরিতে যাওয়ার পাল্টা অভিযোগ করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। দমকলের পরিকাঠামো নিয়ে অভিযোগ করেন তিনি। রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর অভিযোগ, ঘটনাস্থলে ছিলেন না রেলের কোনও আধিকারিক। ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন বাম পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি রেলের গাফিলতির পাশাপাশি, দমকলের উপযুক্ত পরিকাঠামো না থাকারও অভিযোগ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এখানে রাজনীতি করা উচিত নয়। ঘটনায় রেল ও রাজ্য- উভয়েরই গাফিলতি রয়েছে।
এরপর গত ৩১ মার্চ সাতসকালে স্ট্র্যান্ড রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সকাল পৌনে ৮টা নাগাদ বহুতলের চারতলায় আগুন লাগে। নীচের তলায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখা রয়েছে। আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় আসঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয়দের মধ্যে। দমকলের ৬টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।