কলকাতা: নারদ মামলায় (Narad Sting Case) আজ অন্তর্বর্তী জামিন নিলেন ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), মদন মিত্র (Madan Mitra) ও শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee)। আজ সকালে নগর দায়রা আদালতের স্পেশাল ইডি কোর্টে হাজিরা দেন তাঁরা। অন্তর্বর্তী জামিনের (Interim Bail) আবেদন করেন। সেই আবেদন মঞ্জুর হয়। আগামী ২৮ জানুয়ারি ফের এই মামলায় তিন হেভিওয়েটকে আদালতে হাজিরা দিতে হবে। এই মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট বা ইডি যে চার্জশিট পেশ করেছে তাতে এই তিনজনের নাম ছাড়াও সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও এসএমএইচ মির্জার নাম রয়েছে। এরমধ্যে সম্প্রতি প্রয়াত হয়েছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। মির্জা আগেই অন্তর্বর্তী জামিন নিয়েছেন।   


গত ১ সেপ্টেম্বরে নারদকাণ্ডে (Narada Sting Case) রাজ্যের ৫ জনের নামে চার্জশিট জমা দেয় (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) ইডি (ED)। চার্জশিটে নাম ছিল রাজ্যের ২ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), সুব্রত মুখোপাধ্যায়(Subrata Mukherjee) এবং তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের (Madan Mitra)। এ ছাড়াও প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee) ও প্রাক্তন পুলিশ কর্তা এসএমএইচ মির্জারও নাম ছিল চার্জশিটে। 


কয়লাকাণ্ডে (Coal Snuggling Case) রাজ্যের হেভিওয়েটদের দিল্লিতে (Delhi) তলব করে ইডি (Enforcement Directorate)। এই নিয়ে রাজনৈতিক তর্কযুদ্ধের মধ্যেই নারদকাণ্ডে চার্জশিট দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। সিবিআইয়ের (CBI) পরে ইডির চার্জশিট। তাতে নাম ছিল, পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Tranceport Minister Firhad Hakim), পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra), প্রাক্তন মেয়র ও বিধায়ক শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee) এবং প্রাক্তন পুলিশ কর্তা এসএমএইচ মির্জার। 


এদিন চার্জশিট জমা দেওয়ার পরে ইডির বিশেষ আদালত নির্দেশ দেয়, ৫ জনকেই আগামী ১৬ নভেম্বর হাজিরা দিতে হবে আদালতে। চার্জশিটে রাজ্যের ২ মন্ত্রী ও ১ বিধায়কের নাম ছিল। তাই নিয়ম অনুযায়ী, বিধানসভার অধ্যক্ষের মাধ্যমে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও মদন মিত্র-র কাছে পৌঁছবে সমনের কপি। এই ৫ জনের পাশাপাশি নারদকাণ্ডে অভিযুক্ত বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী,কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়, তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার ,প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় ,অপরূপা পোদ্দার এবং প্রাক্তন বিধায়ক ইকবাল আহমেদের প্রসঙ্গে ইডির তরফে আদালতে বলা হয়েছে, নারদকাণ্ডে তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে যাওয়া হবে।