কলকাতা: নারদ মামলায় হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য আবেদনপত্র দাখিল করলেন মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী। সোমবার পৃথকভাবে হলফনামা জমা দেওয়ার আবেদন জানাল রাজ্য সরকারও।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে যখন নারদ মামলার শুনানি হবে, তখন সবার আগে এই হলফনামা জমা নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ।
গত ১৭ মে চার হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীর গ্রেফতারির দিন, নিজাম প্যালেসে দীর্ঘক্ষণ উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ব্যাঙ্কশাল আদালত চত্বরে ছিলেন মলয় ঘটক।
সেই ঘটনাকে কাঠগড়ায় তুলে একাধিকবার প্রভাবশালী তত্ত্বের অভিযোগে সরব হয় সিবিআই। এই মামলায় পক্ষ করা হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও আইনজীবী মলয় ঘটককে।
এরপরই হলফনামা জমা দেওয়ার আবেদন জানান দু’জনে। কিন্তু, গত ৯ জুন মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর হলফনামা নিতে অস্বীকার করে কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ।
মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর হয়ে হলফনামা দাখিল করতে চান আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী। আপত্তি জানান সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা। অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত তখন বলেন, আইন অনুযায়ী হলফনামা জমা দেওয়ার জন্যে চার সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল বলেন, আমরা এর অনুমোদন দিচ্ছি না। একপক্ষের সওয়াল ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ হয়েছে। তাই এই হলফনামা গ্রহণ করছি না।
আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদীর উদ্দেশে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল বলেন, এক সপ্তাহ ধরে এই মামলা শুনছি। আপনি কি চান আমরা আবার একই বিষয় শুনি? আপনি আদালতের সঙ্গে এটা করতে পারেন না।
বৃহত্তর বেঞ্চের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ও বলেন, যখন আপনাদের এই মামলায় পার্টি করা হয়, তখনই আপনারা হলফনামা জমা দেওয়ার অনুমতি চাইলে পারতেন।
এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও মলয় ঘটক সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। গত শুক্রবার, তাঁদের আবেদনে মান্যতা দেয় সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, সোমবারের মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা জমা দেওয়ার আবেদন জানাতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মলয় ঘটককে।
মামলার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত পক্ষকে, রবিবার আবেদনের অগ্রিম কপি দিতে হবে। সেইমতো, এদিন হলফনামা জমা দেওয়ার আবেদন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী। একই আবেদন জানিয়েছে রাজ্য সরকারও।