কলকাতা: সিরোসিস অফ লিভারে আক্রান্ত শোভন চট্টোপাধ্যায়। এমনটাই সন্দেহ করছেন চিকিৎসকরা। প্রাক্তন মেয়রের রয়েছে হৃদযন্ত্রের সমস্যাও। বেড়েছে বুক ধড়ফড়ানি। খবর এসএসকেএম হাসপাতাল সূত্রে।
শোভন চট্টোপাধ্যায়ের হৃদযন্ত্রের সমস্যা। গতকাল ইকোকার্ডিওগ্রাফি করা হয়েছে। এছাড়াও করা হয়েছে বেশকিছু ব্লাড টেস্ট। সুগারের সমস্যা থাকায় তাঁর খাবারের দিকেও বিশেষ নজর দিচ্ছেন চিকিত্সকরা। তবে হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর লিভারে গুরতর অসুখ ধরা পড়েছে।
নারদ মামলায় হেফাজতে থাকা তিন হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রী ভর্তি রয়েছেন এসএসকেএম হাসপাতালে। হাসপাতালের উডবার্ন ব্লকে ভর্তি রয়েছেন সুব্রত মুখোপাধ্য়ায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বয়স ৭৪ বছর। মদন মিত্রর বয়স ৬৬ বছর এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বয়স ৫৬ বছর।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, উদ্বেগ, উত্কণ্ঠায় মানসিক চাপ বেড়েছে তিনজনের। তাই তাঁদের গতকাল রাতে ঘুমের ওষুধ দিতে হয়েছে। বৃহস্পতিবার তিন নেতার ওষুধের তালিকায় কিছু পরিবর্তন করেছেন চিকিৎসকরা। শুক্রবারও তাঁদের একাধিক শারীরিক পরীক্ষা রয়েছে।
সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকায় নয়মিত নেবুলাইজার দিতে হচ্ছে। মানসিক চাপের জন্য ওঠানামা করছে রক্তচাপ। গতকাল সকালে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন তাঁর স্ত্রী।
মদন মিত্রর দীর্ঘদিনের সিওপিডি’র সমস্যা রয়েছে। দিনের অনেকটা সময়ই অক্সিজেন দিতে হচ্ছে। গত মাসে করোনা আক্রান্ত হওয়ায় ফুসফুসে সংক্রমণের প্যাচ ধরা পড়েছে। প্রতিদিন চেস্ট এক্স রে করে সেই প্যাচে নজর রাখছেন চিকিৎসকরা। গতকাল তাঁকে দেওয়া হয়েছে সি-প্যাপ সাপোর্ট। সিটি স্ক্যানও করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। জেল সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার আর নতুন করে জ্বর আসেনি পরিবহণ মন্ত্রীর। তিনি আপাতত ভালই আছেন। বুধবার রাতে বাড়ি থেকে পাঠানো খাবার খেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে ছোট মেয়ে দেখা করতে যান। দুপুরে যান ফিরহাদের স্ত্রী। পরে, ফিরহাদের সঙ্গে গিয়ে কথা বলেন, চিকিত্সক তথা তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন।
সোমবার রাতে, জামিনের নির্দেশে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের পর, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায় চারজনকেই প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে অসুস্থ বোধ করায় ভোর পৌনে চারটের সময় মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায় ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে আসা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে।
বুধবার চার হেভিওয়েট নেতার করোনা পরীক্ষা হয়। সকলের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।