কলকাতা: নারদ মামলায় হেফাজতে থাকা তিন হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রী ভর্তি রয়েছেন এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ব্লকে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, উদ্বেগ, উত্কণ্ঠায় মানসিক চাপ বেড়েছে তিনজনের। তাই তাঁদের গতকাল রাতে ঘুমের ওষুধ দিতে হয়েছে।
বৃহস্পতিবার তিন নেতার ওষুধের তালিকায় কিছু পরিবর্তন করেছেন চিকিৎসকরা। শুক্রবারও তাঁদের একাধিক শারীরিক পরীক্ষা রয়েছে।
সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকায় নয়মিত নেবুলাইজার দিতে হচ্ছে। মানসিক চাপের জন্য ওঠানামা করছে রক্তচাপ। গতকাল সকালে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন তাঁর স্ত্রী।
মদন মিত্রর দীর্ঘদিনের সিওপিডি’র সমস্যা রয়েছে। দিনের অনেকটা সময়ই অক্সিজেন দিতে হচ্ছে। গত মাসে করোনা আক্রান্ত হওয়ায় ফুসফুসে সংক্রমণের প্যাচ ধরা পড়েছে। প্রতিদিন চেস্ট এক্স রে করে সেই প্যাচে নজর রাখছেন চিকিৎসকরা। গতকাল তাঁকে দেওয়া হয়েছে সি-প্যাপ সাপোর্ট। সিটি স্ক্যানও করা হয়েছে।
শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সিওপিডি ছাড়া হার্ট, কিডনি ও সুগারের সমস্যা রয়েছে।গতকাল ইকোকার্ডিওগ্রাফি করা হয়েছে। এছাড়াও করা হয়েছে বেশকিছু ব্লাড টেস্ট। সুগারের সমস্যা থাকায় তাঁর খাবারের দিকেও বিশেষ নজর দিচ্ছেন চিকিত্সকরা।
প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। জেল সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার আর নতুন করে জ্বর আসেনি পরিবহণ মন্ত্রীর। তিনি আপাতত ভালই আছেন। বুধবার রাতে বাড়ি থেকে পাঠানো খাবার খেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে ছোট মেয়ে দেখা করতে যান। দুপুরে যান ফিরহাদের স্ত্রী। পরে, ফিরহাদের সঙ্গে গিয়ে কথা বলেন, চিকিত্সক তথা তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন।
এদিকে নারদ মামলায় আজ হাইকোর্টে শুনানি হবে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে ৪ হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীর জামিন স্থগিতাদেশের পুনর্বিবেচনার শুনানি হবে।
সেইসঙ্গে সিবিআইয়ের মামলা স্থানান্তরের আর্জিরও শুনানি হওয়ার কথা ডিভিশন বেঞ্চে। গতকাল এই মামলার শুনানি হয়নি। মদন মিত্রের তরফে গতকাল বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ গঠনের যে আবেদন করা হয়েছিল, তা খারিজ হয়ে যায়।
সোমবার সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়, এই চার নেতা-মন্ত্রীকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সেদিনই রাতে তাঁদের জামিনের ওপর স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্ট। মঙ্গলবার এই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেন তাঁরা। পাশাপাশি, সিবিআই এই মামলা বাংলা থেকে সরানোর আর্জি জানায়। বুধবার হাইকোর্টে শুনানি হলেও রায় ঘোষণা হয়নি।