কলকাতা: এসএসকেএমে ভর্তি শোভন চট্টোপাধ্যায়ের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ হলেও তাঁর অক্সিজেনের মাত্রা ওঠানামা করছে। মানসিক চাপ বাড়িয়েছে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি। গতকাল রাতে এসএসকেমে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কেবিন থেকে বেরিয়ে এই দাবি করেন তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। 


তাঁর অভিযোগ, এই পরিস্থিতিতে মদন মিত্রর সঙ্গে দেখা করার নাম করে, নিরাপত্তা রক্ষীকে ঠেলে সরিয়ে দু’ জন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ঘরে জোর করে ঢুকে পড়েন। 


নারদকাণ্ডে ধৃত চারজনের মধ্যে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বয়স ৭৪ বছর। মদন মিত্রর বয়স ৬৬ বছর। ফিরহাদ হাকিমের বয়স ৬২ বছর এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বয়স ৫৬ বছর।


এদের মধ্যে তিনজন-- সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায় এখন এসএসকেএমে ভর্তি। জেলে রয়েছেন শুধু ফিরহাদ হাকিম। 


হাসপাতাল সূত্রে খবর, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়--- তিনজনেরই সিওপিডি সমস্যা রয়েছে। বুধবার চিকিত্‍সকদের দল তাঁদের পরীক্ষা করেন। একাধিক পরীক্ষা হয়, তবে সব রিপোর্ট আসেনি। 


এসএসকেএম হাসপাতাল সূত্রে খবর, মদন মিত্রর কোভিড পরবর্তী দুর্বলতা ও কিছু সমস্যা রয়েছে। বুধবার দুপুরে মদন মিত্রকে উডবার্ন ব্লক থেকে সিটি স্ক্যান করার নিয়ে যাওয়া হয় ট্রমা কেয়ার সেন্টারে। সূত্রের খবর, তাঁর সুগার ওঠানামা করছে। মদন মিত্রের সঙ্গে বুধবার দেখা করতে হাসপাতালে আসেন তাঁর ছেলে।   


শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সিওপিডি ছাড়া কিডনি ও সুগারের সমস্যা রয়েছে। বুধবার এসএসকেমে এলেও শোভনের সঙ্গে দেখা করেননি স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। চিকিত্‍সকদের সঙ্গে কথা বলেন। তবে বাবার সঙ্গে দেখা করেন ছেলে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী, বোনও বুধবার এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ব্লকে আসেন।  


অন্যদিকে, ফিরহাদ হাকিম এখনও প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে ফিরহাদ হাকিমের জ্বর আসে। রাতে জ্বর বাড়ে। সঙ্গে পেটে যন্ত্রণা ছিল। সূত্রের খবর, এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হলেও, ফিরহাদ হাকিম তাতে রাজি হয়নি।


তিনি জেলের পরিকাঠামোর মধ্যেই চিকিত্‍সা নেবেন বলে জানিয়ে দেন। ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে দেখা করতে যান তাঁর দুই মেয়ে ও স্ত্রী। বিকেলের দিকে ফিরহাদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, অনিন্দ্য রাউতরা। 


বন্দি চার হেভিওয়েট নেতার করোনা পরীক্ষা হয়েছে। রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।