কলকাতা: উত্সবের মরসুমে জ্বালানির দাম লাগাতার বাড়িয়ে চলেছে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি। ফের নতুন রেকর্ড গড়ল পেট্রোল ও ডিজেলের দাম। আজ কলকাতায় পেট্রোলের দাম বাড়ল লিটারপ্রতি ৩৪ পয়সা, ডিজেলের দাম লিটারে বেড়েছে ৩৫ পয়সা। এর ফলে কলকাতায় পেট্রোলের দাম হল লিটারে ১০৬ টাকা ৭৭ পয়সা। অন্যদিকে সেঞ্চুরির পথে এগোচ্ছে ডিজেল। কলকাতায় ডিজেলের দাম হল লিটারে ৯৮ টাকা ৩ পয়সা। পুজোর আগে থেকেই ঊর্ধ্বমুখী জ্বালানির দাম। ফলে জিনিসপত্রের দামও চড়ছে। করোনা আবহে সব দিক থেকে পকেটে টান পড়ায় সঙ্কটে সাধারণ মানুষ।
জ্বালানির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বাজার দরও। লক্ষ্মীপুজোয় বাজারে আগুন। দাম বেড়েছে ফল থেকে সবজি সবকিছুরই। বাজার করতে গিয়ে নাভিশ্বাস মধ্যবিত্ত ক্রেতার।
লক্ষ্মী এলেন ঘরে। মানুষের বিশ্বাস, কোজাগরী পূর্ণিমায় স্বর্গ থেকে মর্ত্যে নেমে আসেন দেবী৷ যে ভক্ত রাত জেগে তাঁর আরাধনা করেন, তাঁকেই আশীর্বাদ করে যান তিনি। তাই লক্ষ্মীশ্রীর আরাধনায় কোনও রকম কার্পণ্য চান না কেউই। কিন্তু, ধনদেবীর আরাধনায় চিন্তা বাড়িয়েছে অগ্নিমূল্য বাজারদর৷ মাথায় হাত মধ্যবিত্তের। ফল-ফুল থেকে শাক-সব্জি! সব কিছুই আগুন।
মঙ্গলবার সকালে আমরা ঢুঁ মেরেছিলাম গড়িয়াহাট বাজারে। ন্যাসপাতি, আপেল থেকে কড়াইশুঁটি, সিম।
দামে যেন। এ বলে আমায় দেখ, ও বলে আমায়। গড়িয়াহাট বাজারে কেজিপ্রতি ন্যাসপাতি বিকোচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। আপেল ১০০ থেকে ১২০ টাকা। পেয়ারার দর ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি। শসা ৫০ টাকা। এক টুকরো আখ কিনতে দিতে হচ্ছে ১০ টাকা। সবজির দর তো আগে থেকেই চড়ছিল। লক্ষ্মীপুজোয় সেই বাজার এদিন আরও চড়া।
গড়িয়াহাট মার্কেটে একপিস ফুলকপি ৩০ থেকে ৫০ টাকা। বাঁধাকপি ৫০ টাকায়। পটল ৬০ থেকে ৮০টাকা কেজি। বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা। ১ কেজি কড়াইশুঁটি কিনতে গুনতে হচ্ছে ৩০০ টাকা। সিম ২০০ টাকা কেজি। সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে কাঁচালঙ্কা। খরচের চিন্তায় কপালে চিন্তার ভাঁজ। তা সত্ত্বেও ধনদেবীকে তুষ্ট করতে পিছপা হতে চান না কেউ।