সুমন ঘড়াই, হাওড়া : উৎসবের রেশ ফিকে হওয়ার আগেই হওয়ার আগেই ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনার রক্তচক্ষু। কলকাতা সহ একধিক জেলায় ক্রমশ বাড়ছে মারণ ভাইরাসের প্রকোপ। এই অবস্থায় জেলাশাসকদের প্রত্যেক জেলায় করোনা পরীক্ষা ও ভ্যাকসিনেশন বাড়ানোর নির্দেশ দিলেন মুখ্যসচিব। পাশাপাশি জানিয়ে দেওয়া হল, লক্ষ্মীপুজোর পরদিন থেকেই রাজ্যে ফের জারি হয়ে যাচ্ছে রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ।
মঙ্গলবার সন্ধেয় নবান্নে রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারাও। সূত্রের খবর, কলকাতা-সহ জেলায় জেলায় সংক্রমণ বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যসচিব। এই পরিস্থিতিতে করোনা পরীক্ষা ও ভ্যাকসিনেশন নিয়ে কোনও রকম শিথিলতা বরদাস্ত করা হবে না বলে কড়া বার্তা দেন তিনি। যার পরই তিনি নির্দেশ দেন প্রত্যেক জেলাতে করোনা পরীক্ষা বাড়াতে হবে। প্রত্যেক জেলাশাসকের কাছে মুখ্যসচিবের বার্তা, ভ্যাকসিনেশন বাড়ানোরও। বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকাগুলিতে টিকার ডোজ বাড়ানোর বার্তাও জেলাশাসকদের দিয়েছেন মুখ্যসচিব।
পাশাপাশি যে বৈঠকের পরই মুখ্যসচিব জানিয়ে দেন, লক্ষ্মীপুজোর পরদিন থেকেই ফের রাজ্যে জারি হয়ে যাচ্ছে রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ। দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে ১০ থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত রাতের বিধিনিষেধে ছাড় দেওয়া হয়েছিল। যে মেয়াদ শেষের পরই ফের চালু হচ্ছে রাতের কড়াকড়ি। নবান্ন সূত্রে খবর, আগামী ২১ তারিখ থেকে রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় গাড়ি ও সাধারণ মানুষের চলাচলের জারি থাকবে নিষেধাজ্ঞা। জেলা প্রশাসন ও পুলিশকে করোনা বিধিনিষেধ পালন নিশ্চিত করতে কড়া পদক্ষেপ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার প্রকাশিত রাজ্যে স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মোট করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৩ হাজার ২১২টি। যার মধ্যে ৭২৬ টি স্যাম্পেল পজিটিভ। প্রসঙ্গত, রাজ্যে যখন দ্বিতীয় ঢেউয়ের শীর্ষে পৌঁছেছিল, তখন প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ হাজারের মধ্যে ঘোরাফেরা করত দৈনিক পরীক্ষার সংখ্যা। কিন্তু মাঝে পুজোর সময় কলকাতা সহ একাধিক জেলাতেই কমেছিল কোভিড টেস্ট। অনেক জায়গায় তা বন্ধও ছিল, সেই কথা মাথায় রেখেই জেলাশাসকদের করোনা পরীক্ষা বাড়ানোর কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যসচিব।
আরও পড়ুন- রাজ্যে আরও বাড়ল করোনা সংক্রমণ, সাতশোর গণ্ডি টপকাল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা