অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: নিউটাউন এলাকায় এবার থেকে ড্রোনের মাধ্যমে হবে সরকারি প্রকল্পের প্রচার। ওই এলাকায় একাধিক বহুতল আবাসন রয়েছে। আবাসনের উঁচুতলার বাসিন্দাদের কাছে সরকারি বার্তা ও সচেতনতামূলক প্রচার চালাতে এবার থেকে নেওয়া হবে ড্রোনের সাহায্য। আজ থেকেই চালু হল পরিষেবা।


নিউটাউনে সুউচ্চ বহুতলের সারি।  রাস্তার প্রচার বহুতলের ওপর তলার বাসিন্দাকের কানে পৌঁছোয় না। অনেকসময় তাঁদের চোখেও পড়ে না, ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে পদাতিকদের মিছিল। এই বিষয়টি মাথায় রেখেই নিউটাউনের সুউচ্চ বহুতলের বাসিন্দাদের কাছে সরকারি বার্তা ও সচেতনতামূলক প্রচার পৌঁছে দিতে ড্রোনের ব্যবহার শুরু করল নিউটাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি। 


রবিবার থেকেই শুরু হয়েছে মাইক লাগানো ড্রোনের সাহায্যে দুয়ারে সরকার, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো সরকারি প্রকল্প বা করোনা বিধি সম্পর্কে প্রচার। এনকেডিএ সূত্রে খবর, এই ড্রোন বহুতলের ১৬-১৭ তলা অবধি ওপরে উঠতে পারে। সেই উচ্চতা থেকে পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমের মাধ্যমে প্রচার চালায়। নিউটাউনে সেই আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে প্রচারই শুরু করল এনকেডিএ। 


রাজ্য সরকারের তরফে বিভিন্নরকম প্রকল্প নেওয়া হয়েছে সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে। দুয়ারে সরকার, দিদিকে বলো, কন্যাশ্রী, সবুজ সাথী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ আরও অনেক প্রকল্প শুরু করেছে তৃণমূল। তবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ফর্ম পেতে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হেনস্থার স্বীকার হতে হয়েছে অনেককেই। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম বাছাইতে স্বজনপোষণের অভিযোগে দেগঙ্গায় কলসুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বিক্ষোভ দেখা গিয়েছিল কিছুদিন আগে। প্রকাশ্যে এসেছিল সেখানে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। পঞ্চায়েত অফিসে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম স্ক্রুটিনির কাজ চলছিল। স্বজনপোষণের জেরে নাম বাদ পড়ার আশঙ্কায় তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধানের নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীদের একাংশ। দীর্ঘক্ষণ রাস্তা অবরোধ করা হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে দেগঙ্গা থানার পুলিশ ও বিডিও ঘটনাস্থলে যান। স্বজনপোষণের আশঙ্কা নস্যাৎ করেছেন তৃণমূল প্রধান। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রায় কয়েক হাজার আবেদনপত্র জমা পড়ে দেগঙ্গার কলসুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে।