করোনার তৃতীয় ঢেউ এলে দেশের জিডিপি আরও নামতে পারে। এমনটাই আশঙ্কা করছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়।  


এদিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। সেখানেই তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে জানান, বাংলার অর্থনীতিও দেশের সঙ্গে জড়িত। 


অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আরেকটা ঢেউ এলে, জিডিপি আরও নামতে পারে। দেশের অর্থনীতির উন্নতি না হলে, বাংলা একা কিছু করতে পারবে না।’


তিনি যোগ করেন, ‘সারা দেশের অর্থনীতি সচল হলে, তার প্রভাব পড়বে। বাংলার অনেকেই ভিন রাজ্যে কাজ করেন। দেশের অর্থনীতির উন্নতি হলে, তার প্রভাব পড়বে বাংলাতেও।’


তিনি বলেন, আমাদের রাজ্যের একটা বিশেষ সমস্যা হচ্ছে, অনেকটা আয় আসে পরিযায়ীদের থেকে। আমরা একা এই সমস্যা সমাধান করতে পারব না। দেশের অর্থনীতি যখন খুলবে, সেটাই আমাদের টেনে নিয়ে যাবে। রাজ্য সরকার নিশ্চয় সাহায্যের চেষ্টা করছেন, কিন্তু সমস্যার সমাধান হবে তখনই, যখন দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হবে। কোভিডের জন্য অর্থনীতি ধীরে চলছে। আগে সাড়ে বাড়বে বলেছিল, এখন বলছে সাড়ে নয়। আমার মনে হয় সাতে গিয়ে ঠেকবে। আরেকটা ওয়েভ আসলে আরও কমবে। দেশের অর্থনীতির উন্নতি না হলে, রাজ্য একা এগোতে পারবে না। 


অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক ঘাটতি রয়েছে। আমি ফ্রি-স্পেন্ডিং পলিসির পক্ষে। এটাকে বাজেট ব্যালেন্সের জন্য করছে। আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলো যা করছে, ভারত তা করছে না। তবে কিছুটা করছে। 


নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ জানান, কোভিড মোকাবিলায় ভাল কাজ করেছে রাজ্য। তিনি বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় বাংলায় অনেক কিছু কাজ হয়েছে। অক্সিজেনের সাপ্লাই, অক্সিমিটার অনেক ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। এখন প্রেসের দায়িত্ব সবাইকে খবর পৌঁছে দেওয়া। ভয় না পেয়ে যখন জ্বর বা শরীর খারাপ মনে হবে, জ্বর হয়েছে, শ্বাসকষ্ট হয়েছে, সঙ্গে সঙ্গে চিকিত্‍সকের কাছে পরামর্শ নেওয়া। অক্সিজেনের অভাব নেই। 


গতবারে উৎসবের মরসুমে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছিল রাজ্য বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, গত বছর আমরা ডিটেল প্রোটোকল রেকমেন্ড করেছিলাম। সেটা সরকার খুব ভাল করে করেছিল। আমরা আবার সেটা করব।