সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: পলতায় পুরসভার জলের পাইপ লাইন ফেটে বড়সড় বিপত্তি। উত্তর ও মধ্য কলকাতার বিস্তীর্ণ অংশে জল সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই মেরামতির কাজ শুরু করেছে কলকাতা পুরসভা। আজ দুপুরের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আশ্বাস দিয়েছে পুর কর্তৃপক্ষ।
সকাল ৬টার সময় পুরসভার পরিশ্রুত জল সরবরাহ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জল এলেও সেখানে ছিল না কোনও গতি। এতটাই ধীর গতিতে সরবরাহ ছিল যে অনেক জায়গায় জল সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে। কোথাও আবার ঘোলা জলও এসেছে। উত্তর কলকাতার বেশ কিছু ওয়ার্ড এবং মধ্য কলকাতার বউবাজার পর্যন্ত এই সমস্যা দেখা যায়।
ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে পলতা থেকে টালা পর্যন্ত পুরসভার যে জলের লাইন রয়েছে সেখানে ফাটল দেখা দিয়েছে। মধ্যরাত থেকেই সেখানে জলের লাইন মেরামতির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। সকাল সাড়ে ৯ টার পর জল সরবরাহের কাজ শুরুর চেষ্টা করা হলেও যোগান পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। বেলা ১১টার সময় যে জল সরবরাহ হয়, সেটিই অপর্যাপ্ত ছিল।
যদিও পুরসভার তরফে জানান হয়েছে সাড়ে ৩টের সময় যে জল সরবরাহ করা হবে তা স্বাভাবিক হবে। সকাল থেকে জল সরবরাহে যে বিঘ্ন ঘটেছে তা পুরোপুরি মিটে যাবে বলেই জানান হয়েছে। গোটা এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এর জেরে পলতা থেকে টালায় জল সরবরাহ ব্যাহত হয়। পুরসভার কর্মীরা সারারাত ধরে পাইপ মেরামত করেন।
জলসঙ্কটের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, এই আশঙ্কায় পুরসভার তরফে বিভিন্ন জায়গায় জলের গাড়ি পাঠানো হয়। এখনও মেরামতির কাজ চলছে। সেখানে রয়েছে পুরসভার আধিকারিকরাও। তাঁরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও তদারকি করছেন।
এদিকে, কলকাতায় চড়চড় করে বাড়ছে মুরগির মাংসের দাম। ইতিমধ্যেই কাটা মুরগির দাম কলকাতার বাজারে আড়াইশো পার করেছে। সরকারি ন্যায্য মূল্যের দোকানেও কাটা মুরগির দাম দু’শোর ওপর। করোনা পরিস্থিতিতে যখন হাই প্রোটিন ডায়েট খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্সকরা, সে সময় মুরগির মাংসের এই দামবৃদ্ধিতে সমস্যায় তাঁরা। দামের ঠেলায় টান পড়েছে মধ্যবিত্তের পকেটে।