রঞ্জিত সাউ, কলকাতা: পুজোর মরশুমে বড়সড় ডাকাতির ছক বানচাল করল নারায়ণপুর থানার পুলিশ। গ্রেফতার এক। ধৃতের কাছে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও বেশকিছু ধারাল অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। আজ ধৃতকে ব্যারাকপুর আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে পুলিশ।
গতকাল গভীর রাতে টহলদারি করার সময় নারায়ণপুর থানার অন্তর্গত দোন্নগর কাছে পুলিশের গাড়ি সামনে চলে আসে একটি ১০৭ গাড়ি। গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় এলাকায় ডাকাতি উদ্দেশ্যে জড়ো হয়েছে তারা। পুলিশ দেখে গাড়ির চালক সহ বাকিরা পালিয়ে যায়। একজনকে ধরে ফেলে নারায়ণপুর থানার পুলিশ। ধৃতের নাম হাসান লস্কর (২১)। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটের বাসিন্দা হাসান। ধৃতের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, এক রাউন্ড গুলি ভোজালি, কাস্তে,লোহার রড সহ ডাকাতি করার সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে। আজ বারাকপুর আদালতের তোলা হয়। ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে নারায়ণপুর থানার পুলিশ। ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে বাকিদের খোঁজ চালাবে পুলিশ।
অন্যদিকে, মহা চতুর্থীর রাতে মালদার চাঁচলে বড়সড় ডাকাতির ছক বানচার করল পুলিশ। আগ্নেয়াস্ত্র সহ চারজনের কুখ্যাত ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গোপন সূত্রের খবর পেয়ে চাঁচল থানার গৌরহন্ডের একটি আমবাগানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি পিস্তল,এক রাউন্ড গুলি,একটি হাসুয়া,একটি ছুরি। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে একটি মোটর বাইক তাদের মোবাইল ফোন।
চাঁচল থানার গৌরহন্ডের একটি আমবাগানে হরিশ্চন্দ্রপুর, ইটাহার ও চাঁচল থেকে বেশ কিছু দুস্কৃতি ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হয়েছিল বলে পুলিশের দাবি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, সাধারণ পোশাকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করলেও বাকিরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পুলিশ জানিয়েছে ধৃতরা হাসিবুল(৪৫),মজিবুর রহমান (২৬) চাঁচল এলাকার বাসিন্দা। বাবর আলি (৩৫) হরিশ্চন্দ্রপুরের ও রাজ্জাক আলি(৫৫) উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারের বাসিন্দা।
চাঁচল থানার আইসি সুকুমার ঘোষ জানান, “ধৃতরা কুখ্যাত ডাকাত বলেই পরিচিত। এরা শহরের একটি ব্যবসায়ী দোকানে ডাকাতির ছক কষছিল বলে খবর ছিল। গোপন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করতে পেরেছি। ধৃতদের রবিবার পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন চেয়ে চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।’’