সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: পঞ্চমীর সকালে শরতের আকাশে মেঘ-রোদের লুকোচুরি। কলকাতার আকাশ মেঘলা থাকলেও বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। তবে সকাল থেকে উত্তর ২৪ পরগনা-সহ কয়েকটি জেলায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী দু’ দিন বাংলায় বর্ষা বিদায় পালা চলবে। সপ্তমী পর্যন্ত আকাশ পরিষ্কার থাকবে। বৃষ্টির সম্ভাবনা কম থাকলেও বাড়বে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি।
অষ্টমী থেকে দশমী। কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, এই সাত জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পুজোয় উত্তরবঙ্গের আকাশ পরিষ্কার থাকবে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী,, অষ্টমীতে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তা চলতে পারে নবমী-দশমী। ষষ্ঠী-সপ্তমীটা হয়তো কাটবে নির্বিঘ্নেই। কিন্তু অষ্টমী থেকে চোখ রাঙাতে পারে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, পঞ্চমী থেকেই আবহাওয়ার উন্নতি হবে। ষষ্ঠী-সপ্তমী খুব একটা বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
আরও পড়ুন, দুর্গাপুরে পুলিশ সেজে প্রতারণা, চোখের নিমেষে গয়না বদলে পাথর ধরিয়ে চম্পট দুষ্কৃতীদের
উত্তর আন্দামান সাগরে তৈরি হচ্ছে একটি নিম্নচাপ। তার অভিমুখ দক্ষিণ ওড়িশা ও উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশের দিকে। এই নিম্নচাপের জেরে, অষ্টমীর দিন উপকূলের জেলা, অর্থাৎ, দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর ও কলকাতা, হাওড়া, হুগলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। নবমী-দশমী বাড়তে পারে বৃষ্টির পরিমান। আবহবিদ সৌরীশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "উত্তরে আবহাওয়ার উন্নতি হবে। আগামী এক সপ্তাহে উত্তর বঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।" আজ দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বাধিক ৯৭ শতাংশ, ন্যূনতম ৬৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে ২.৪ মিলিমিটার।
আরও পড়ুন, আজ মহাপঞ্চমী, বোধনের আগেই মণ্ডপে মণ্ডপে ঠাকুর দেখার ভিড়
এদিকে, আজ রবিবার মহাপঞ্চমী৷ তাই সকাল থেকেই ছুটির মুডে উত্সবপ্রিয় বাঙালি। কাল, ষষ্ঠীতে দেবীর বোধন হলেও বহু মণ্ডপেই মা এসে গিয়েছেন। ঢাকের আওয়াজে ঘুম ভেঙেছে অনেকেরই। শরতের ঝলমলে আকাশ মাঝেমধ্যেই ঢাকছে মেঘে। তবে বৃষ্টির ভ্রুকুটি পুজোর আনন্দ এখনও মাটি করতে পারেনি। চতুর্থীর রাত থেকেই শুরু হয়েছে ঘুরে ঘুরে ঠাকুর দেখা। পঞ্চমীর রাতে সেই ভিড় বাড়বে আরও। করোনা আবহে নিরাপত্তার বাড়তি ব্যবস্থা করা হয়েছে বড় পুজোর মণ্ডপগুলিতে।