ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: কলকাতা পুরসভার কয়েকটি বরোতে বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ। ইতিমধ্যেই তিন জন ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী দিনে ডেঙ্গির প্রকোপ আরও বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: West Midnapore: রাস্তায় আশ্রয় গ্রামবাসীদের, জলমগ্ন পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার পশ্চিমচক গ্রাম
আকাশে আশঙ্কার মেঘ। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রবিবার থেকে উপকূলের জেলাগুলিতে বৃষ্টি বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এই পরিস্থিতিতে, ম্যালেরিয়া সঙ্গে উদ্বেগ বেড়াচ্ছে ডেঙ্গি। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, ৪, ৫, ৬ এবং ৭ নম্বর বরোতে ডেঙ্গি আক্রান্তের হদিশ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৭ নম্বর বরোতে ডেঙ্গির প্রকোপ সবথেকে বেশি। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব বাড়বে। অক্টোবরে আরও বাড়বে। সতর্ক না হলে ভয়াবহ পরিস্থিতিতে হতে পারে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, গত ১ সপ্তাহে কলকাতায় ৩ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যার অধ্যাপক গৌতম আদিত্য বলেন, “এই সময় ডেঙ্গি বাড়বে। নিময় অনুযায়ী বর্ষার শেষের দিকে এটা বাড়তে পারে, জমা জল থাকলে বাড়বে। নির্মাণ কাজ নিয়ে খেয়াল রাখতে হবে। আগে যে সমস্ত জায়গায় ম্যালেরিয়া পাওয়া যেত, সেখানে ডেঙ্গি পাওয়া যাচ্ছে। ভয়াবহ আকার নেবে, বড় আকার নিতে পারে।’’
শিশু চিকিৎসক অগ্নিমিতা গিরি বলেন,“অনেকেই প্রচুর ডেঙ্গি উপসর্গ নিয়ে আসছে। গাঁটে ব্যথা, চোখের পিছনে ব্যথা এবং গায়ে র্যাশ হয়। হাতের পিছনে গুটি দাগ হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণত বর্ষাকালের শেষ থেকে ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা যায়। আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকে। এই সময়, চিকিৎসকদের কাছে বিভিন্ন ধরনের জ্বর নিয়ে রোগীর আসছেন। তার মধ্যে অনেকেই মশা বাহিত রোগে আক্রান্ত। যার মধ্যে ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগী রয়েছেন।’’
চিকিৎসক অজয় সরকার বলেন, এখন জ্বর হলে, প্রথমে এনএসওয়ান অ্যান্টিজেন টেস্ট করতে হবে। পরবর্তী সময় অ্যান্টিবডি টেস্ট করতে হবে। আর প্লেটলেটের পরীক্ষা ভাল ল্যাব থেকে করতে হবে। না হলে ফলাফলে বিভ্রান্তি হতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, ম্যালেরিয়ার ক্ষেত্রে দ্রুত চিহ্নিত হলে ওষুধ আছে। কিন্তু, ডেঙ্গির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনও ওষুধ এখনও নেই। উপসর্গভিত্তিক চিকিৎসা করেই, ডেঙ্গি রোগীকে সুস্থ করা হয়।
আরও পড়ুন: Malda: আবাস যোজনার ঘর পেতে ২০ হাজার টাকা কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে