বিশ্বজিৎ দাস, পিংলা: সপ্তাহখানেক আগে বৃষ্টি থামলেও এখনও জলমগ্ন পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার পশ্চিমচক গ্রাম। শ তিনেক গ্রামবাসী আশ্রয় নিয়েছেন গ্রামের পাকা রাস্তার ওপর। সেখানে সরকারি ত্রাণ পৌঁছয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। ত্রাণ বিলি নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ভিত্তিহীন অভিযোগ, পাল্টা দাবি শাসকদলের।


পথেই সংসার, গেরস্থালির জিনিস নিয়ে ঠাঁই হয়েছে খোলা আকাশের নীচে। ত্রিপল টাঙিয়ে, ইটের ওপর খড় চাপিয়ে কোনওমতে চলছে দিনযাপন।এভাবেই লড়াই চালাচ্ছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার পশ্চিমচক গ্রামের শতাধিক বাসিন্দা।


আরও পড়ুন: Malda: আবাস যোজনার ঘর পেতে ২০ হাজার টাকা কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে


সপ্তাহখানেক আগের প্রবল বৃষ্টির জেরে এখনও ভাসছে পিংলার বিস্তীর্ণ এলাকা। পশ্চিমচক গ্রাম প্লাবিত। বাড়ির একতলায় জল। মাটির বাড়িগুলি ডুবে গিয়েছে। শ তিনেক বাসিন্দা গবাদি পশুদের নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন উঁচু পাকা রাস্তার ওপর। অভিযোগ, সেখানে পৌঁছয়নি সরকারি ত্রাণ। পশ্চিমচকের বাসিন্দা বুল্টি বেরা প্রামাণিকের কথায়,বিশ্বকর্মা পুজোর আগের দিন থেকে বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় এসে উঠেছি। তিন চারশো লোক রয়েছে। সরকারিভাবে ত্রাণ মেলেনি। আরেক বাসিন্দা শঙ্করী বাগের কথায়, বাড়ি ডুবে গেছে। রাস্তায় আছি। বাইরে থেকে কিছু কিছু লোক এসে চিড়ে মুড়ি বিস্কুট দিচ্ছে। ত্রাণ বিলি নিয়ে গ্রামবাসীদের অভিযোগ মানছেন পঞ্চায়েতের স্থানীয় সদস্য।


পিংলার জলচক গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য অমিত গায়েন বলেন, “ওঁরা সেভাবে সরকারি ত্রাণ পাননি। সরকারের কাছে আবেদন করেছি যাতে বাড়িগুলো মেরামত করা যায়। ত্রাণ বিলি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।’’ ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি তন্ময় দাস, “রাস্তার ওপর ত্রিপল টাঙিয়ে শতাধিক মানুষ রয়েছে। প্রশাসন সহযোগিতা করেনি। এমনকি খাবারও পৌঁছে দেয়নি।’’ যদিও পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক জানিয়েছেন, গবাদি পশু সঙ্গে থাকায় ওই গ্রামবাসীরা স্কুলে গিয়ে থাকতে চাইছেন না। ত্রাণ শিবিরে খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে।


আরও পড়ুন: Howrah: শিবপুরে জলবন্দি এলাকা পরিদর্শনে এসে বিক্ষোভের মুখে মনোজ তিওয়ারি