পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: পার্লারের চাবি মিলল, চলল পুলিশের তল্লাশি। কিন্তু বিতর্ক থামল না! রবিবারও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুললেন মাদককাণ্ডে ধৃত বিজেপির যুব নেত্রী পামেলা গোস্বামী। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য জানান, ‘‘এবিষয়ে কিছু বলতে চাই না, দলের কোনও বক্তব্য নেই, পুলিশ যা করার করবে ৷’’


মাদক সরবরাহের অভিযোগে, শুক্রবার নিউ আলিপুরে গ্রেফতার হন রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার সম্পাদক পামেলা গোস্বামী। গ্রেফতার হন তাঁর সঙ্গী, বিজেপি নেতা প্রবীর কুমার দে ও তাঁদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী। পুলিশ সূত্রে দাবি, ওইদিন সন্ধেয় নিউটাউনে পামেলার বিউটি পার্লারে তালা দিয়ে চলে গিয়েছিলেন এক কর্মী। শনিবার দিনভর তন্নতন্ন করে খুঁজেও, চাবির হদিশ মেলেনি। অবশেষে রাত ২টো নাগাদ হদিশ মেলে পার্লারের চাবির। এরপরই রবিবার ধৃত তিনজন ও পার্লারের এক কর্মীকে নিয়ে নিউটাউনের শপিংমলে যান তদন্তকারীরা। কিন্তু পার্লারের মূল দরজা খোলা গেলেও, বিপত্তি দেখা দেখা দেয় ভিতরে। পুলিশ সূত্রে দাবি, পার্লারের ভিতরে অনেক ড্রয়ার রয়েছে। যেগুলির চাবি পাওয়া যাচ্ছে না। পার্লারে কারা কারা আসত, কী হত, তা জানার জন্য সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এমনকী, মাদককাণ্ডে ভিন রাজ্যের যোগও মিলেছে বলে পুলিশ সূত্রে দাবি করা হচ্ছে। প্রয়োজনে সেখানেও যেতে পারেন তদন্তকারীরা। উল্টোদিকে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলার পাশাপাশি এদিন ফের পুলিশের দিকেও আঙুল তুলেছেন ধৃত বিজেপির যুব নেত্রী। 




পুলিশের তরফ থেকে অবশ্য দাবি করা হচ্ছে, গ্রেফতারির প্রক্রিয়া এবং ধৃতদের গাড়ি থেকে কোকেন উদ্ধারের ঘটনার পুরোটাই ভিডিওগ্রাফি করা আছে। তাই পুলিশি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ভিত্তিহীন। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, ‘‘এটা ইন্ডিপেন্ডেন্ট এনকোয়ারি হওয়া উচিত আমার মনে হয়। পামেলার অভিযোগের ইন্ডিপেন্ডেন্ট এনকোয়ারি হওয়া উচিত এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’’


দলের নেতা রাকেশ সিংয়ের বিরুদ্ধেই ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে, গেরুয়া শিবিরকে অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছেন পামেলা। তবে এই প্রথমবার নয়, ঝাড়গ্রামে জে পি নাড্ডার সভায় যেতে গিয়েও তাঁকে বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল বলে, ফেসবুকে এই পোস্টটি করেছিলেন বিজেপির যুব নেত্রী। যদিও পরে পোস্টটি ডিলিট করে দিয়েছিলেন পামেলা গোস্বামী।