কলকাতা : ফের রেফার রোগের জেরে রোগী-হয়রানি। বেড নেই বলে ফের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয় রোগীকে। এসএসকেএমের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ জানিয়েছে রোগীর পরিবার।


শনিবার ট্রেনে উঠতে গিয়ে পড়ে গিয়ে পায়ে চোট পান আজিমগড়ের বাসিন্দা তথা ৩৫ বছরের যুবক সঞ্জীব মণ্ডল। তাঁর ডান ও বাঁ পায়ে চোট লাগে। বহরমপুর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে পাঠানো হয় কলকাতায়। কিন্তু, এনআরএস, এসএসকেএম, চিত্তরঞ্জন হাসপাতাল থেকে তাঁকে রেফার করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।


অভিযোগ, সব জায়গাতেই বেড নেই বলে ৩ সরকারি হাসপাতাল থেকে রেফার করে দেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা করে রেফার করে দেওয়া হয়। বাধ্য হয়ে তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁকে দুদিন রাখা হয় বলে পরিবারের দাবি। ৭০ হাজার টাকার ওপর খরচ হয়ে গেছে। আর টাকা না থাকায় সেখান থেকে ওই ব্যক্তিকে বের করে নিয়ে এসে ফের এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এই হাসপাতালে ফের তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা করে বেড নেই বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।


পরে তাঁরা এমার্জেন্সির পিছনে অপেক্ষা করতে শুরু করেন। পরিবারের দাবি, তাঁদের কাছে এই মুহূর্তে কোনও টাকা নেই। এদিকে চোটের অংশে পচন ধরে গিয়েছে । 


এপ্রসঙ্গে এসএসকেএম-এর একাধিক কর্তা খোঁজ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন। অধিকর্তার দফতরের তরফ থেকে পরিস্থিতি দেখে হাসপাতালে ভর্তি করার চেষ্টা করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।


এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। তিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ঘুরেও রোগীকে ভর্তি করা যায়নি বলে অভিযোগ ওঠে। পরিবারের অভিযোগ, বেড না পেয়ে ৩৬ ঘণ্টা বিনা চিকিৎসায় SSKM হাসপাতাল চত্বরে গাছের নীচে ঠাঁই হয় রোগীর। মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদের বাসিন্দা ৫৮ বছরের মাজেরা বিবি সিড়ি থেকে পড়ে গিয়ে ঘাড়ে ও পিঠে চোট পেয়েছিলেন। ওইদিনই বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু কলকাতায় রেফার করা হয় মাজেরা বিবিকে। প্রথমে কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাঁকে। কিন্তু প্রয়োজনীয় ডাক্তার নেই বলে, SSKM-এ রেফার করা হয়। রাতে NRS মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে আরেক মেডিক্যাল কলেজ SSKM-এ আনা হয় রোগীকে। কিন্তু সেখানেও রোগীকে ভর্তি হতে কালঘাম ছুটে যায় গরিব পরিবারের। অবশেষে তৃণমূল নেতা মদন মিত্রর হস্তক্ষেপে রোগীর MRI হয়। এরপর ৩৬ ঘণ্টা পর ভর্তি নেওয়া হয়েছিল মাজেরা বিবিকে।