সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: ফের জ্বালানির দামে রেকর্ড বৃদ্ধি। কলকাতায় লিটারপ্রতি পেট্রোলের দাম বাড়ল ২৯ পয়সা। লিটারপ্রতি ২৫ পয়সা বাড়ল ডিজেলের দাম। এর ফলে কলকাতায় পেট্রোলের দাম বেড়ে হল লিটারপ্রতি ৮৮ টাকা ৯২ পয়সা। লিটারপ্রতি ডিজেলের দাম বেড়ে হল ৮১ টাকা ৩১ পয়সা।
দিল্লিতে পেট্রোলের দাম বেড়ে হয়েছে প্রতি লিটারে ৮৭.৬০ টাকা, মুম্বইয়ে এর দাম হয়েছে ৮৭.৬০ টাকা।
দিল্লিতে ডিজেলের দাম বেড়ে হয়েছে প্রতি লিটারে ৭৭.৭৩ টাকা। মুম্বইয়ে এর দাম প্রতি লিটারে ৮৪.৬৩ টাকা।
প্রতিদিন পেট্রোল-ডিজেলের দাম সংশোধন করে বিপণনকারী সংস্থাগুলি। বিদেশি মুদ্রার হারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানির দামের হেরফেরের উপর নির্ভর করে প্রতিদিনের পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম সংশোধিত হয়।
তেল সংস্থাগুলি প্রতিদিন সকালে পেট্রোল এবং ডিজেলের সংশোধিত দাম প্রকাশ করে। ডিলাররা কেন্দ্র-রাজ্য কর এবং নিজেদের লাভের অঙ্ক যুক্ত সেই খুচরা মূল্যে ক্রেতাদের জ্বালানি বিক্রি করে।
পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রসঙ্গ এদিন রাজ্যসভাতেও ওঠে। পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেছেন, দেশএ পেট্রোলিয়াম পদার্থের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের মূল্য অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। দেশে ৮০ শতাংশই বাইরে থেকে কিনতে হয়, ফলে আন্তর্জাতিক বাজারের মূল্য অনুসারেই দাম নির্ধারিত হয়ে থাকে। তেল কোম্পানিগুলি তার ভিত্তিতেই দাম ঠিক করে থাকে।
এ ব্যাপারে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, জ্বালানির খুচরো দাম অপরিশোধিত তেলের মূল্য, পরিবহণ খরচ, ওএসসি মার্জিন, ফ্রন্ট কস্ট, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারে কর, এক্সাইজ ডিউটি ও অন্য কর মিলিয়ে ঠিক হয়। পেট্রোল-ডিজেলের দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে। কেন্দ্র কি দাম কমাতে পদক্ষেপ নিতে পারে না?
এ ব্যাপারে ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেছেন, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে মূল্য তো মাপকাঠি, কিন্তু সমস্ত কর ও শুল্ক শুধুমাত্র কেন্দ্র সরকারের ঘরেই আসে না। রাজ্য সরকারের কাছেও যায়। উন্নয়নের কাজ ও অন্যান্য প্রকল্প চালায় এবং এর অর্থ এদিক থেকেও আসে। বছরের পর বছর এটাই চলছে। কিন্তু মূল্য বাজারই ঠিক করে।
কংগ্রেস সাংসদ বেণুগোপাল বলেন, সরকার বেশ কয়েকবার এক্সাইজ ডিউটি বাড়িয়েছে। সরকার তা কমাতে কিনা, তা জানতে চান তিনি।
এ ব্যাপারে মন্ত্রী বলেছেন, আজ আন্তর্জাতিক বাজারে দাম ৬১ ডলার। এটি গুরুতর বিষয় ও এক্ষেত্রে কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকারেরই দায়িত্ব রয়েছে। দুই সরকারই কর বাড়িয়েছে যাতে উন্নয়নের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। গত দুই বছরে এক্সাইজ ডিউটি কমানোও হয়েছে।