কলকাতা: একদিন পর ফের বাড়ল পেট্রোলের দাম। উল্টোপথে হেঁটে সামান্য কমল ডিজেলের মূল্য। 


রবিবার অপরিবর্তিত ছিল পেট্রোল ও ডিজেলের দাম। আজ, সোমবার, লিটারপ্রতি ৩৪ পয়সা বেড়ে আজ কলকাতায় পেট্রোলের দাম ১০১ টাকা ৩৫ পয়সা। অন্যদিকে, লিটারপ্রতি ১৬ পয়সা কমে কলকাতায় ডিজেলের নতুন দাম হয়েছে ৯২ টাকা ৮১ পয়সা। 


করোনা আবহে বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। তার ওপর পেট্রোল-ডিজেলের এইভাবে দাম বেড়ে চলায় নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। 


অর্থনীতিবিদদের একাংশের যুক্তি, একটা স্তরে সরকারের উচিত দাম নিয়ন্ত্রণ করা। তাঁদের মতে, এটা জরুরি পণ্য। এর সঙ্গে বাজারের অন্য পণ্যের দামের ওঠানামা যুক্ত। এর দায় এড়াতে পারে না সরকার। একটা স্তরে দাম নিয়ন্ত্রমের করা উচিত।  জিএসটি আওতায় আনছে না। এটা আনলে ভাল হতো।


ইতিমধ্যেই তেলের দামের বোঝা বাজারের কাঁধে চাপতে শুরু করেছে।  ক্রমাগত জ্বালানির দাম বাড়ায় প্রভাব পড়ছে বাজারে। জিনিসপত্রের আগুন দামে মাথায় হাত মধ্যবিত্তের। খুচরো বাজারের বিভিন্ন পণ্যের দামও ঊর্ধ্বমুখী। এই সাঁড়াশি চাপে সাধারণ মানুষের মাথায় হাত। 


এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব বিরোধীরা। পেট্রোপণ্যের লাগাতার মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে পথে নেমেছে অবিজেপি দলগুলি। জ্বালানির এই মূল্যবৃদ্ধিকে হাতিয়ার করেই মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে তৃণমূল। রবিবার পথে নেমে প্রতিবাদ দেখায় শাসকদল।  


যাদবপুরের সাইকেল মিছিল করেন অরূপ বিশ্বাস।  পেট্রোপণ্য ও রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বাগুইআটিতে রাস্তায় নামানো হয় নৌকা। কাঠের উনুনে চলে রান্না। 
  
চিনার পার্কে তাপস চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গরুর গাড়িতে চেপে হয়ে বিক্ষোভ। বালুরঘাটে বর-বউ সাজিয়ে গরুরগাড়িতে চাপিয়ে অভিনব ভাবে প্রতিবাদ দেখায় তৃণমূল।


উত্তরপাড়ায় দড়ি ধরে টানা হয় গাড়ি। তাতে হাত লাগান তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক। পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে পেট্রোপণ্য ও রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে তৃণমূলের প্রতিবাদে সামিল হন বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্স চালকরা।  একই ইস্যুতে হেস্টিংসে বিজেপির অফিসে সামনে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল।