কলকাতা: একদিন পর ফের বাড়ল পেট্রোলের দাম। যদিও ডিজেলের মূল্য অপরিবর্তিতই থাকল।


আজ, শনিবার, লিটারপ্রতি ৩৪ পয়সা বেড়ে কলকাতায় পেট্রোলের দাম হয়েছে ১০২ টাকা ০৮ পয়সা। অন্যদিকে, লিটারপ্রতি ডিজেলের দাম একই রয়েছে ৯৩ টাকা ০২ পয়সায়। 


২ দিন আগে, বৃহস্পতিবার বেড়েছিল জ্বালানির দাম। সেদিন লিটারপ্রতি ৩৯ পয়সা বেড়ে বৃহস্পতিবার কলকাতায় পেট্রোলের দাম হয়েছিল ১০১ টাকা ৭৪ পয়সা। অন্যদিকে, লিটারে ২১ পয়সা বেড়ে ৯৩ টাকা ০২ পয়সা দাম হয়েছিল ডিজেলের।


পেট্রোলের ক্ষেত্রে  এক্সাইজ ডিউটি বাবদ ৩২ টাকা ৯০ পয়সা নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। সেলস ট্যাক্স বাবদ রাজ্য সরকার নেয় ২৫ শতাংশ টাকা। কমিশন বাবদ ৩ টাকা ৩০ পয়সা পান পেট্রোল ডিলাররা।


অন্যদিকে, ডিজেল বাবদ এক্সাইজ ডিউটি বাবদ ৩১ টাকা ৮০ পয়সা নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। সেলস ট্যাক্স বাবদ রাজ্য সরকার নেয় ১৭ শতাংশ টাকা। আর কমিশন বাবদ ২ টাকা ১১ পয়সা পান ডিলাররা।


করোনাকালে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। প্রভাব পড়েছে অর্থনীতিতেও। কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। আবার অনেকের বেতন কমেছে। এই অবস্থায় পকেটে টান পড়া অসংখ্য মানুষের উদ্বেগ বাড়িয়েই চলেছে জ্বালানির দাম। পেট্রোল-ডিজেলের এইভাবে দাম বেড়ে চলায় নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। 


অর্থনীতিবিদদের একাংশের যুক্তি, একটা স্তরে সরকারের উচিত দাম নিয়ন্ত্রণ করা। তাঁদের মতে, এটা জরুরি পণ্য। এর সঙ্গে বাজারের অন্য পণ্যের দামের ওঠানামা যুক্ত। এর দায় এড়াতে পারে না সরকার। একটা স্তরে দাম নিয়ন্ত্রমের করা উচিত।  জিএসটি আওতায় আনছে না। এটা আনলে ভাল হতো।


ইতিমধ্যেই তেলের দামের বোঝা বাজারের কাঁধে চাপতে শুরু করেছে।  ক্রমাগত জ্বালানির দাম বাড়ায় প্রভাব পড়ছে বাজারে। জিনিসপত্রের আগুন দামে মাথায় হাত মধ্যবিত্তের। খুচরো বাজারের বিভিন্ন পণ্যের দামও ঊর্ধ্বমুখী। এই সাঁড়াশি চাপে সাধারণ মানুষের মাথায় হাত। 


এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব বিরোধীরা। পেট্রোপণ্যের লাগাতার মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে পথে নেমেছে অবিজেপি দলগুলি। জ্বালানির এই মূল্যবৃদ্ধিকে হাতিয়ার করেই মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে তৃণমূল।