বেহালা: শহরের দু প্রান্তে দুই প্রৌঢ়ের রহস্য মৃত্যুতে চাঞ্চল্য। শনিবার পর্ণশ্রীর অভিজাত আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে বহুজাতিক সংস্থার প্রাক্তন কর্মীর দেহ। মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। অন্যদিকে, এন্টালিতে ক্যান্সার আক্রান্তের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার। মানসিক অবসাদে আত্মহত্যা বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের।


শুক্রবার রাতে, একদিকে পর্ণশ্রীর অভিজাত আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় বহুজাতিক সংস্থার প্রাক্তন কর্মীর মৃতদেহ। অন্যদিকে, এন্টালিতে প্রৌঢ়ের আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। 


পুলিশ সূত্রে খবর, পর্ণশ্রীর অভিজাত আবাসনের ফ্ল্যাটের একাধিক জায়গায় ছিল শুকিয়ে যাওয়া রক্তের দাগ। গ্লাসে মিলেছে কীটনাশক। ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার  প্রচুর মদের বোতল। ওষুধের প্যাকেট।


মৃতের নাম ইন্দ্রজিৎ দীপক স্যামুয়েল উপ্পল। পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২০-র ডিসেম্বর থেকে পর্ণশ্রীর ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন প্রৌঢ়। স্ত্রী নৈনিতালের বোর্ডিং স্কুলের শিক্ষিকা। একমাত্র মেয়ের বিয়ে হয়েছে ব্যাঙ্গলোরে। পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার সেখান থেকে পর্ণশ্রী থানায় ফোন করে প্রৌঢ়ের স্ত্রী জানান, কয়েকদিন ধরে স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। 


রাতে দরজা ভেঙে ফ্ল্যাটে ঢোকে পুলিশ। ঘর থেকে উদ্ধার হয় মৃতদেহ। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, দিন পনেরো আগে, শেষবার দেখা গিয়েছিল প্রৌঢ়কে। পরিবার সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরে ডিপ্রেশন ও নিউরো সমস্যায় ভুগছিলেন প্রৌঢ়। ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।


অন্যদিকে, এন্টালিতে বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার ৬৩ বছরের এক প্রৌঢ়ের  ঝুলন্ত দেহ। পুলিশ সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন প্রৌঢ়। মানসিক অবসাদে আত্মহত্যা বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোটও। দুটি ঘটনায় খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মৃতদেহগুলিকে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।


দুই প্রৌঢ়ের মৃত্যুর ঘটনা ছাড়াও এ দিন চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কালিয়াচকের একটি ঘটনা। মা-বাবা-সহ পরিবারের ৪ জনকে নৃশংসভাবে খুন করে বাড়ি লাগোয়া গুদামঘরে পুঁতে রাখার অভিযোগ ওঠে বাড়ির ছোট ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলে পৌঁছন ম্যাজিস্ট্রেট। তাঁর উপস্থিতিতেই শুরু হয় খোঁড়ার কাজ। গুদামঘর থেকে উদ্ধার হয় চারজনের দেহ।