ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা : এন আর এস মেডিক্যাল কলেজের মেডিক্যাল স্টোরে বিষাক্ত চন্দ্রবোড়া সাপ। আর তাই নিয়েই শুক্রবার সারা বিকেল তুলকালাম চলল এন আর এস মেডিক্যাল কলেজের সুপারের অফিসে। আতঙ্ক ছড়ায় সেখানকার কর্মীদের মধ্যে। কর্মীরাই নিজেদের উদ্যোগে বোতলবন্দি করে ওই সরীসৃপকে। অবশেষে বন দপ্তরের কর্মীরা এসে সেই বোতলবন্দি সাপ নিয়ে গেলে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। তবে মেডিক্যাল স্টোর ও সুপারের অফিসের কর্মীদের মধ্যে এখনও চাপা আতঙ্ক রয়েছে। বোতলবন্দি সাপ যে চন্দ্রবোড়া তা বনদপ্তরের কর্মীরাও জানান।
সূত্রের খবর, আতঙ্কের কারণ, আজ হাসপাতালে এসে বন দফতরের কর্মীরা এসে বলেছেন, একটি বাচ্চা চন্দ্রবোড়া সাপ উদ্ধার মানে আশপাশে থাকতে পারে অন্তত আরও ৩৯ টি আছে। কারণ, একসাথে ৪০টি বাচ্চা জন্ম দেয় চন্দ্রবোড়া সাপ। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে বাকি সাপগুলো গেলো কোথায়?
ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার দুপুর তিনটে নাগাদ। সুপারের অফিসের বেসমেন্টে অবস্থিত ইন্ডোর মেডিসিন স্টোরে বিভিন্ন ওষুধের বাক্সের নড়াচড়া করতে গিয়ে একটি সাপ বেরিয়ে আসে। আতঙ্কিত হয়ে যান কর্মীরা। চাঞ্চল্য ছড়ায়। এরপর কর্মীরাই সেই সরীসৃপ বোতলবন্দি করে। বন দপ্তরে খবর দেওয়া হয়। তবে, এখনও চন্দ্রবোড়া সাপ নিয়ে কর্মীদের একাংশের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ।
সূত্রের খবর, হাসপাতালে সপ্তাহ দেড়েক আগেও রোগীদের রাত্রিনিবাসের কাছে ক্যান্টিনে এইরকম চন্দ্রবোড়া সাপের 'উপদ্রব' কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছিল। অভিযোগ, গাছের তলায় আশ্রয় নেওয়া রোগীর পরিজনদের গায়ে গাছ থেকে চন্দ্রবোড়া সাপ ছিটকে পরেছিল। তখন আতঙ্কিত রোগীর পরিজনরা লাঠির আঘাতে ওই সরীসৃপ মেরে ফেলেছিল। তখনও রোগীর পরিজনদের মধ্যে প্রবল আতঙ্ক ছড়ায়। কর্তৃপক্ষের দাবি, ঘটনার পর পুরো ক্যাম্পাস এবং বিশেষভাবে রাত্রিনিবাসের আশপাশে সাফাই-ব্লিচিং-কার্বলিক অ্যসিড ছড়ানো হয়।
এবার, সুপারের অফিসের বেসমেন্টে মেডিসিন স্টোরের ঘটনায় আতঙ্ক আরও বাড়ল বলে কর্মীদের একাংশের অভিযোগ। আর যে খবর সামনে আসার পর থেকেই হাসপাতাল চত্বরে ছড়িয়ে পড়েছে ব্যাপক উদ্বেগ।