সত্যজিৎ বৈদ্য, কলকাতা: লকডাউনে কাজ হারিয়ে সংসারে অশান্তি। ডিপ্রেশনের জেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন আলিপুরের এক যুবক। ১০০ ডায়ালে ফোন করার পর যুবককে উদ্ধার করলেন পুলিশকর্মীরা। কাউন্সেলিং করিয়ে যুবককে বাড়িতে ফেরানো হয়।
লকডাউনে কাজ চলে গেছে। আত্মহত্যা ছাড়া, আমার আর কোনও পথে বেঁচে নেই। বুকে একরাশ যন্ত্রণা নিয়ে পুলিশে এই কথা জানানোর পর, আর কথা বাড়াতে পারেননি আলিপুরের যুবক। ফোন পেয়ে দ্রুত তাঁর বাড়িতে পৌঁছে আত্মহত্যা রুখে দিল পুলিশ।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, আলিপুরের ওই যুবক ড্রাইভারের কাজ করতেন। কিন্তু, লকডাউনের জেরে সেই কাজও তাঁর কয়েক মাস নেই। প্রতিবেশীদের দাবি, কাজ হারিয়ে হতাশার জেরে চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন বছর পঁয়ত্রিশের ওই যুবক।
যুবকের এক আত্মীয় জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই কর্মহীন ছিল। সারাদিন বাড়িতেই থাকত। নেশা করত। এই নিয়ে বউয়ের সঙ্গে ঝামেলা হয়। বউ বাপেরবাড়ি চলে যায়। ওই আত্মীয় বলেন, আমরা সহযোগিতা করি ওর খাবারের ব্যবস্থা করি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এদিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ ১০০ ডায়ালে ফোন করে যুবকই। লালবাজার থেকে খবর পেয়ে আলিপুর থানার পুলিশ দ্রুত তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যায়।
ওই আত্মীয় জানান, গামছা নিয়ে ঝোলার চেষ্টা করে যুবক। তিনি বলেন, আমি দেখতে পেয়েই থানায় যাই। পুলিশ এসে ভাল করে বুঝিয়েছে। থানায় কাউন্সেলিং করানোর পর, পরিজনেরা যুবককে নিয়ে বাড়িতে যান।
মারাত্মক করোনা শুধু জীবন নয়, লাখ লাখ মানুষের কেড়ে নিয়েছে জীবিকা। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালীন দেশে কাজ হারিয়েছেন সোয়া দু’ কোটিরও বেশি। সম্প্রতি এই পরিসংখ্যান পেশ করেছে বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি। পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, এপ্রিল-মে, এই ২ মাসে দেশে কাজ হারিয়েছেন ২ কোটি ২৭ লক্ষ ৭০ হাজার জন।
এই তথ্য পরিসংখ্যানকে কটাক্ষ করে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যর ট্যুইট, সিএমআইই-র এই তথ্য অর্থহীন। এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়। এরই মধ্যে বেসরকারি সংস্থা সিএমআইই এপ্রিল-মে মাসের ডেটা জোগাড় করে ফেলল! সিএমআইই কী কংগ্রেসের কাছ থেকে রাজনৈতিক তথ্য জোগাড় করছে?