কলকাতা: কাঁকুড়গাছির মৃত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের বাড়িতে গেলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। ২ মে, ভোটের ফল ঘোষণার পর, তৃণমূল কর্মীদের হামলায় ওই বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত শুরুর পর এই প্রথম বিজেপি কর্মীর বাড়িতে গিয়ে তদন্ত করছেন সিবিআই অফিসাররা।  নিজাম প্যালেসে এনে দাদা বিশ্বজিতের সঙ্গে কথা বলবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। আসছেন ৪ সিবিআই কর্তা।
গত ৩০ জুলাই কাঁকুড়গাছিতে বিজেপি কর্মী অভিজিত্‍ সরকারের খুনের ঘটনায় কাজল দাস নামে  ১ জনকে গ্রেফতার করেপুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, উল্টোডাঙায় বাসের মধ্যে থেকে এই ব্যক্তিকে পাকড়াও করেন, মৃতের দাদা বিশ্বজিত্‍ সরকার। তুলে দেন উল্টোডাঙা ট্রাফিক গার্ডের হাতে। পরে, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে মানিকতলা থানার পুলিশ। যদিও ধৃত কাজল দাসের নাম এফআইআরে নেই বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তার আগে, জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে কাঁকুড়গাছিতে বিজেপি কর্মীর খুনের ঘটনায়  ২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। 
এই মামলার তদন্তভার প্রথমে নেয় নারকেলডাঙা থানা। পরে তা কলকাতা গোয়েন্দা পুলিশের হাতে চলে যায়। ঘটনায় একাধিক মামলা রুজু করে পুলিশ। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত শুরুর পর এই প্রথম বিজেপি কর্মীর বাড়িতে গিয়ে তদন্ত করছেন সিবিআই অফিসাররা। 
গত ১৮ অগাষ্ট ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের মামলায়, খুন-ধর্ষণ বা অস্বাভাবিক মৃত্যুর মতো গুরুতর ঘটনার ক্ষেত্রে, CBI তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। বলা হয়,  অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্তে, রাজ্য পুলিশের ৩ কর্তাকে নিয়ে সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় ১৩ জুলাই হাইকোর্টে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তৈরি কমিটির রিপোর্ট জমা পড়ে। রিপোর্টে মূল সুপারিশ ছিল, ঘৃণ্য অপরাধের তদন্তভার দেওয়া হোক CBI-কে। বিচারপর্ব যেন বাংলার বাইরে হয়। অপেক্ষাকৃত কম গুরুতর অভিযোগের ক্ষেত্রে, উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তাদের দিয়ে SIT গঠন করে তদন্তের সুপারিশ করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তৈরি কমিটি। সেই মামলায়  হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ সর্বসম্মতিক্রমে নির্দেশ দেয় আদালতের নজরদারিতে, খুন, ধর্ষণ ও অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত করবে সিবিআই। বলা হয়, ৬  সপ্তাহের মধ্যে তাদের রিপোর্ট জমা দিতে হবে। এছাড়া ৩ IPS অফিসার, সৌমেন মিত্র, সুমনবালা সাহু ও রণবীর কুমারের নেতৃত্বে সিট গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরা অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার তদন্ত করবে।