সঞ্চয়ন মিত্র ও মোহন প্রসাদ, কলকাতা : বুধবার থেকে শনিবার অবধি কলকাতায় বৃষ্টি (Rain) হতে পারে। আশার কথা শোনাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Alipore Weather Department)। হতে পারে কালবৈশাখীও। মঙ্গলবার মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে কার্শিয়ঙে।


চাতক পাখির দশা যখন দক্ষিণের, তখনই স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজল উত্তর। ভরদুপুরেই কার্শিয়ঙে নামল সন্ধে। জ্বালাতে হল গাড়ির হেডলাইট। উত্তরের এই ছবি দেখে দক্ষিণবঙ্গবাসীর প্রশ্ন, কবে অসহ্য গরম থেকে নিষ্কৃতি পাবেন তাঁরা ? এই পরিস্থিতিতে আশার কথা শোনাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। 


বুধবার থেকে শনিবার অবধি বৃষ্টি হতে পারে কলকাতায়। হতে পারে কালবৈশাখীও। উত্তর ও দক্ষিণ দুই বঙ্গেই আগামী কয়েকদিন বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।


তবে, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম বর্ধমান- পশ্চিমাঞ্চলের এই পাঁচ জেলায় আরও ২৪ ঘণ্টা তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি থাকবে। তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করবে ৪২-৪৩ ডিগ্রির মধ্যে। বুধবারের পর থেকে দক্ষিণবঙ্গে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে।


প্রসঙ্গত, বৈশাখের শুরুতেই রাজ্যে পশ্চিমাঞ্চলের পাঁচ জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা দেওয়া হয়। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর ও পশ্চিম বর্ধমান, রাজ্যের এই পাঁচ জেলায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি ছিল।  


এদিকে দিনকয়েক আগে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। বাড়ি ঘর ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি নষ্ট হয়েছে জমির ফসল। বইখাতা ভিজে যাওয়ায় সমস্যায় পড়ে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা। প্রশাসনের তরফে সাহায্য না মেলার অভিযোগ করেন ক্ষতিগ্রস্তরা। স্থানীয় পঞ্চায়েতের তরফে দেওয়া হয় দ্রুত সাহায্যের আশ্বাস। কোচবিহারে নাগাড়ে বৃষ্টি পাট চাষে ব্যাপক ক্ষতি।


তবে, একেবারে ভিন্ন ছবি জঙ্গলমহলের বাঁকুড়ায়। শেষবার বৃষ্টি হয়েছিল ফেব্রুয়ারিতে। রীতিমতো দুর্বিষহ অবস্থা সেখানকার মানুষের। বাঁকুড়ার বাসিন্দা গৌতম দত্ত বলেন, এর আগে এত গরম দেখিনি। বৃষ্টি না হলে আরও সমস্যা হবে।


পড়শি জেলাকে গরমে টেক্কা দিচ্ছে পুরুলিয়াও। হাসফাঁস আবস্থা পশ্চিম বর্ধমানেরও ।