আরজি কর-এ অধ্যক্ষের ইস্তফার দাবিতে জারি পড়ুয়াদের অনশন আন্দোলন। এই পরিস্থিতিতে চিকিত্সা পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার অভিযোগ উঠছে। এর জন্য আন্দোলনকারীরা নন, দায়ী কর্তৃপক্ষ - এই অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ মেডিক্যালের পড়ুয়াদের একাংশের।


আরজি কর-এ অধ্যক্ষের ইস্তফার দাবিতে অব্যাহত আন্দোলন।
চলছে অনশনও। এবার সমস্যার কথা রোগীর পরিবারকে জানাতে ট্রমা কেয়ার সেন্টারের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন আন্দোলনকারী মেডিক্যাল পড়ুয়া ও ইন্টার্নদের একাংশের।


শুক্রবার অনশন মঞ্চ থেকে মেডিক্যাল পড়ুয়া ও ইন্টার্নদের একাংশ মিছিল করে ট্রমা কেয়ার সেন্টারের সামনে যান। সেখানেই চলে বিক্ষোভ। এই পরিস্থিতিতে রোগী পরিষেবা নিয়ে উঠেছে অভিযোগ। এ জন্যও যে তাঁরা দায়ী নন, সেটাও স্পষ্ট করেন আন্দোলনকারীরা।


আরজি কর মেডিক্যালের আন্দোলনকারী পড়ুয়া জানিয়েছেন, আমরা যাদের পরিষেবা দিই, জানাতে চাই আমাদের কী অবস্থা।এটা ঠিক নয় আমাদের জন্য রোগী পরিষেবা ব্যহত হচ্ছে। আমাদের দাবি পূরণের জন্য আন্দোলন ।


নিরপেক্ষ স্টুডেন্ট কাউন্সিল গঠন, হস্টেল সংস্কার-সহ একাধিক দাবিতে আরজিকরে মেডিক্যাল কলেজে বেশ কিছুদিন ধরেই চলছে আন্দোলন ।
অধ্যক্ষের ইস্তফার দাবিতে এখনও অনশন আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন মেডিক্যাল পড়ুয়া ও ইন্টার্নদের একাংশ। ইতিমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তাঁদের একজন।  শুক্রবার ১৯ দিনে পড়ল মেডিক্যাল পড়ুয়া ও ইন্টার্নদের একাংশের অনশন আন্দোলন ।


আরজি কর মেডিক্যালের আন্দোলনকারী আরেক পড়ুয়া জানিয়েছেন, অনশন করছি। ষষ্ঠ জন হাসপাতালে ভর্তি। কারও কোনও ভ্রুক্ষেপ। অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ব্যর্থতা। রোগী পরিষেবার জন্য আমরা দায়ী নই ।


আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য বুধবার দাবি করেছে, আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের প্রায় সকলেই কাজে যোগ দিয়েছেন, পরিষেবা স্বাভাবিক।


চিকিৎসক ও মেন্টর গ্রুপের সদস্য জ্যোতির্ময় পালের কথায়, পিজিটিদের বেশিরভাগই কাজে যোগ দিয়েছেন। পরিষেবা স্বাভাবিক রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কবে শেষ হবে আন্দোলন? কী হবে পরিণতি, সেটাই এখন প্রশ্ন ।