কলকাতা: ছাত্র বিক্ষোভে ফের আরজি কর হাসপাতালে উত্তেজনা। একাধিক দাবিতে ছাত্রদের অবস্থান বিক্ষোভ জারি। বিক্ষোভ তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বচসা। অভিযোগ, হস্টেল রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ায় চাঙড় ভেঙে আহত ছাত্র। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
কিছু দিন ধরেই বিভিন্ন দাবিতে পড়ুয়াদের একাংশ বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল। সূত্রের খবর, সম্প্রতি এসএসকেএম হাসপাতালে শহরের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলির অধ্যক্ষদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে প্রসঙ্গটি ওঠে। ওই ঘটনার নেপথ্যে ডেপুটি সুপারের দিকে আঙুল তোলেন অধ্যক্ষ। তারপরই এই বদলি ঘিরে নতুন বিতর্ক উস্কে দিয়েছে। এই বিতর্কের মধ্যে দায়িত্ব নিয়েছেন নতুন ডেপুটি সুপার।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল পুরনো সুপারকে। পরের দিন সকালে হাসপাতালে তাঁর ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তোলেন আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডেপুটি সুপার। অভিযোগ অস্বীকার করেন রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান।
এ নিয়ে ফের বিতর্ক তৈরি হয় আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। হাসপাতালের ডেপুটি সুপারের বদলি ঘিরে ঘটনার ঘনঘটা। শুক্রবার আর জি করের ডেপুটি সুপার সুপ্রিয় চৌধুরীকে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়। তাঁকে পাঠানো হয় আলিপুরদুয়ারের ডেপুটি সিএমওএইচ-২ পদে। সদ্য প্রাক্তন ডেপুটি সুপারের অভিযোগ, শনিবার সকালে হাসপাতালে গিয়ে দেখেন, তাঁর ঘরে তালা দেওয়া হয়েছে।
শেষপর্যন্ত, স্থানীয় থানার আউটপোস্টের ওসিকে দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে তিনি তাঁর জিনিসপত্র নিয়ে যান। স্বাস্থ্যসচিব ও স্বাস্থ্য অধিকর্তাকে লিখিত আকারে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই আধিকারিক। যদিও সিসিটিভি ফুটেজ সামনে এনে, সদ্য প্রাক্তন ডেপুটি সুপারের যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আরজি কর মেডিক্যালের রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি সুদীপ্ত রায় জানান, গভীর রাতে ডেপুটি সুপার সুপ্রিয় চৌধুরী তিনি তাঁর চেম্বারে যান, সেখান থেকে তিনি কাগজপত্র সরানোর কাজ শুরু করেন, সেই কাজে সাহায্য করেন কিছু চিকিৎসক, দুপুর পর্যন্ত ছিলেন, সিসিটিভি ফুটেজ দিয়েছে, ৪০-৫০ বস্তা কাগজপত্র নিয়ে যাওয়া হয়।