কলকাতা : দুর্যোগের দগদগে দাগ সারাজীবনের ক্ষত হয়ে হানা দিল বঙ্গের একাধিক ঘরে। হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের প্রবল দুর্যোগের রেশ সরিয়ে যতই প্রাণের সঞ্চারের চেষ্টা চলছে, ততই ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকে মৃত্যুমিছিলের সংখ্যাটা ক্রমশ বাড়ছে। দুই রাজ্যে ট্রেকিংয়ে গিয়ে প্রাণ হারালেন ১১ জন বাঙালি। উত্তরাখণ্ডে ও হিমাচল প্রদেশে ট্রেকিংয়ে গিয়ে যথাক্রমে ৫ ও ৬ অভিযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। আর শুধুমাত্র উত্তরাখণ্ডে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬৭। এখনও আইটিবিপি, পুলিশের ৩২ জন জওয়ান জোরকদমে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন।


দুই রাজ্যে ট্রেকিংয়ে গিয়ে যে সমস্ত অভিযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে আছেন হরিনগরের অনিতা রাওয়াত, নেপালগঞ্জের বিকাশ মাকাল, সৌরভ ঘোষ, কালীঘাটের শুভায়ন দাস, হরিদেবপুরের রিচার্ড মণ্ডল, তনুময় তিওয়ারি। এখনও নিখোঁজ তনুময়ের মামা সুখেন মাঝি। পাশাপাশি আহতদের মধ্যে রয়েছেন মিঠুন দারি, মিঠুনের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। পাশাপাশি অত্যন্ত দুর্গম এলাকায় উদ্ধার হওয়া অভিযাত্রীদের দেহ কবে তাদের পরিবারের কাছে এসে পৌঁছবে, সে নিয়েও তৈরি হয়েছে সংশয়।


উত্তরাখণ্ডের অন্যতম দুর্গম এলাকা লামখাগা পাসে উদ্ধার হয়েছে যে ১১ জন অভিযাত্রী মৃতদেহ, তাদের মধ্যে এই রাজ্যের ৬ বাসিন্দা রয়েছেন। এখনও নিখোঁজ একজন। তাঁকে বরফ চাপা অবস্থায় একজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। জানা যাচ্ছে, পুজোর সময় লামখাগা পাসে ট্রেক করতে যায় ১৭ জনের দলটি। তুষারধসের কারণে গত ১৮ অক্টোবর তাঁরা পথ হারান তাঁরা। দলে ছিলেন স্থানীয় গাইড এবং পোর্টার
২০ অক্টোবর তল্লাশি শুরু করে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। উদ্ধারকাজে নামে ভারতীয় বায়ুসেনাও। ১৭ হাজার ফুট উচ্চতায় এখনও উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনা।


আরও পড়ুন- লামখাগা পাসে মিলল রাজ্যের ৫ সহ ১১ জনের মৃতদেহ, বরফের মধ্যে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার এক


আরও পড়ুন-আটকে থাকা পর্যটকদের ফিরিয়ে আনতে NDRF-এর সঙ্গে যোগাযোগ রাজ্য সরকারের


দেখুন- দেবভূমে ফের দুর্যোগ, প্রকৃতির রুদ্ররূপের নিশান উত্তরাখণ্ডজুড়ে