কলকাতা: মানিকতলার বিধায়ক সাধন পাণ্ডের শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। হাসপাতাল সূত্রে খবর, গতকাল থেকে এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণ ভেন্টিলেশনেই রয়েছেন রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষামন্ত্রী। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন সাধন পাণ্ডের ফুসফুসে সংক্রমণ রয়েছে, পাশাপাশি রক্তচাপও খুবই কম বলে খবর হাসপাতাল সূত্রের। জানানো হয়েছে, খুবই অনিয়মিত হৃদস্পন্দন মন্ত্রীর, প্রভাব পড়েছে মস্তিষ্কে।
গতকালই অসুস্থ হন মানিকতলার তৃণমূল বিধায়ক সাধন পাণ্ডে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুরের দিকে ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের একটি কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন মানিকতলার বিধায়ক। সেখানে সারা কাটিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। এর পরেই অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন সাধন পাণ্ডে।
শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তার পরই তাঁকে প্রায় অচৈতন্য অবস্থায় বাইপাসের ধারের এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয় বিধায়ককে। কাশি, ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।
কাল থেকেই ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে মানিকতলার বিধায়ককে। প্রসঙ্গত, রাজ্যের বাইরে থাকেন সাধন পাণ্ডের মেয়ে শ্রেয়া পাণ্ডে। ইতিমধ্যেই বাবার অসুস্থতার খবর দেওয়া হয়েছে মেয়ে কে। সূত্রের খবর কলকাতায় ফিরছেন বলে জানা গিয়েছে।
তাঁর সিওপিডি ও রেনাল প্রবলেম রয়েছে গতকাল প্রাথমিক পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন আরও বেশ কিছু পরীক্ষানিরীক্ষা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন। ভর্তির পর কোভিড পরীক্ষা করা হয়। সেই রিপোর্ট নেগেটিভ বলে জানান চিকিৎসকরা। উল্লেখ্য, এর আগে বিধানসভা ভোটের আগে শ্বাসকষ্টের সমস্যায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল তাঁকে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিনের বিধায়ক সাধন পান্ডে। এবার বিজেপির কল্যাণ চৌবেকে হারিয়ে জিতেছিলেন তিনি। এবারের বিধানসভা ভোটে তৃণমূল বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফেরে।
তৃণমূলের জয়লাভের প্রসঙ্গে সাধন পাণ্ডে বলেন, ‘মানুষের হয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। জনগণই আমাদের শক্তি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের শক্তি। জেতার পর আমাদের দায়িত্ব আরও বাড়ল। ফুলের মালা পরতে গেলে কাঁটা সহ্য করতে হবে। গত ১০ বছরে আমরা অনেক কাজ করেছি।’ তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা তিনি। কিন্তু মাঝেমধ্যেই তাঁকে দলে বেসুরোও শুনিয়েছে।