কলকাতা: লাল কেল্লার আদলে বিশাল মণ্ডপ আর তার উপরে লেজার শো-এর মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে ভারতের স্বাধীনতা লাভের বিভিন্ন টুকরো টুকরো ছবি। ইংরেজদের সঙ্গে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের লড়াই, বিপ্লবীদের ফাঁসি হওয়া, ব্রিটিশ পতাকা অবনমিত করে ঝলমল করে ওঠা ভারতের তেরঙ্গা, ভারতমাতার ছবি... সবই ফুটে উঠছে নিখুঁতভাবে। উদ্বোধনের পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্যত ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারের মণ্ডপের এই বিষয় ভাবনা। মণ্ডপ সুন্দর হলেও এই বছরে সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারের ইউএসপি ওই লেজার শো-ই। কিন্তু সপ্তমীর রাতেই ছন্দপতন! সাময়িকভাবে বন্ধ করতে হল লেজার শো!


পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, সপ্তমীর রাতেই লেজার শো দেখতে ভিড় উপচে পড়েছিল সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারের মণ্ডপে। সেই ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা দুষ্কর হয়ে পড়েছিল পুলিশের পক্ষে। এই কারণেই সাময়িকভাবে মণ্ডপে লেজার শো বন্ধ করতে পুজো উদ্যোক্তাদের কাছে অনুরোধ করা হয় পুলিশের তরফ থেকে। মণ্ডপে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতেও ময়দানে নামে পুলিশ। কিছুক্ষণের জন্য দর্শকদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। খুলে দেওয়া হয় ব্যারিকেড। 


আরও পড়ুন: Durga Puja 2022 : নকশাল আন্দোলনের সময় থেকে বন্ধ শূন্যে গুলি করার রীতি ! ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ ধনেখালির চৌধুরী বাড়ির পুজো


রাত বাড়লে অবশ্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ফের চালু করে দেওয়া হয় লেজার শো। দর্শকদের প্রবেশও আগের মতই স্বাভাবিক করে দেওয়া হয়। যদিও এই ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারের কর্মকর্তারা। এই ঘটনায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ করেন সজল ঘোষ। তাঁর কথায়, ‘সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারকে ফাঁকা করে অন্য প্যান্ডেলের ভিড় বাড়ানোর চেষ্টা হয়েছে’। মণ্ডপ নিস্প্রদীপ করে দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন সজল ঘোষ। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর রাত ১২টা নাগাদ সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে ফের চালু হয় লেজার শো। 


আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। আগের মতো ফের চালু হয়ে গিয়েছে লেজার শো। প্রসঙ্গত, গতকাল, অর্থাৎ শনিবার বৃষ্টির কারণে দীর্ঘক্ষণ বন্ধ রাখতে হয়েছিল মণ্ডপের লেজার শো।


অন্যদিকে সপ্তমীর সন্ধেতেই মণ্ডপে মণ্ডপে জনস্রোত। আবহাওয়া দফতর ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা দূর করতেই পথে নেমেছে মানুষ। আলোয় ভাসছে গোটা রাজ্য। সন্ধে নামতেই শহরে আলোকদ্যুতি। সপ্তমীর কলকাতায় মানুষের ঢল। মাতৃমূর্তি দর্শন থেকে আলোকসজ্জায় মন্ত্রমুগ্ধ হওয়া। সঙ্গে দেদার খানা-পিনা। সপ্তমীর শহরজুড়ে উদযাপন।