কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, আশাবুল হোসেন ও অতসী মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: টলিপাড়ার শ্যুটিং সঙ্কটে লাগল রাজনীতির রং। তৃণমূলে ভবনে রাজ চক্রবর্তীর সওয়াল, বিজেপি থেকে শিল্পীরা তৃণমূল এলে স্বাগত। পাল্টা স্বরূপ বিশ্বাসের নাম করে রাজকে কটাক্ষ রুদ্রনীল ঘোষের। স্বরূপ বিশ্বাস যদিও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ।


একজন ব্যারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক, দলের সাংস্কৃতিক সেলের রাজ্য সভাপতি রাজ চক্রবর্তী। অন্যজন তাঁরই বন্ধু, ভবানীপুর কেন্দ্রে পরাজিত বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ। শিল্পীদের তৃণমূলে যোগ দেওয়া, শ্যুটিং বন্ধ নিয়ে তরজায় জড়ালেন দু’জন। তৃণমূল কংগ্রেসের সাংস্কৃতিক সেলের রাজ্য সভাপতি তথা বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী বলেন, শিল্পীদের কোনও বার থাকা উচিত নয়। এ বিষয়ে কটাক্ষের সুর বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষের গলায়। তিনি বলেন, স্বরূপবাবু তো শ্যুটিং বন্ধ করে দিয়েছেন।


টলিপাড়ায় দীর্ঘদিন শ্যুটিং বন্ধের পর শ্যুট ফ্রম হোম শুরু হয়। এনিয়ে ফেডারেশনের সঙ্গে সংঘাত শুরু হয় আর্টিস্টস ফোরাম ও প্রযোজকদের। কোভিড বিধি মেনে বুধবার শ্যুটিং শুরু হলেও আচমকা তা বন্ধ হয়ে যায়। বৃহস্পতিবারও গিল্ডের কেউ আসেননি। হাতে গোনা কয়েকটি ধারাবাহিকের শ্যুটিং হয়। ফেডারেশনের দাবি, প্রযোজক ও আর্টিস্টস ফোরামকে শ্বেতপত্র প্রকাশ করে শ্যুট ফ্রম হোম এর বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে হবে।  উল্টোদিকে আর্টিস্টস ফোরাম, প্রযোজক, ভেন্ডর ও চ্যানেল কর্তৃপক্ষের দাবি, ফেডারেশন কর্তৃপক্ষের চাপেই অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। এরইমধ্যে তৃণমূলের সাংস্কৃতিক সেলের বৈঠকের পর বৃহস্পতিবার বিজেপিতে যোগ দেওয়া শিল্পীদের উদ্দেশে বার্তা দেন রাজ চক্রবর্তী।


রাজ চক্রবর্তী বলেন, শিল্পীদের কোনও বার থাকা উচিত নয়। টালিগঞ্জের যে শিল্পীরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁরা তৃণমূলে আসতে চাইলে আপত্তি থাকা উচিত নয়।  তবে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রুদ্রনীলের ঘোষের বক্তব্য, একটু দেখ, স্বরূপবাবু তো শ্যুটিং বন্ধ করে দিয়েছে। শিল্পীরা তো এমনিই মারা যাচ্ছে। দলের সাংস্কৃতিক সেলের সভাপতি আপনি, আগে স্বরূপবাবুকে নিয়ন্ত্রণ করুন। এ নিয়ে ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিসিয়ান্স অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস জানান,  বিষয়টিকে তিনি গুরুত্ব দিচ্ছেন না। কোনও মন্তব্য করার ইচ্ছে তাঁর নেই।