অনির্বাণ বিশ্বাস, সুদীপ্ত আচার্য, সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: দ্রুত নিয়োগের (Recruitment) দাবিতে এসএসসির (SSC) চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন ৩৪ দিনে । পাশে দাঁড়িয়ে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হলেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Mazumder)। বিষয়টি বিধানসভায় তুলতে চায় বিজেপি (BJP)। ঘোলা জলের ফায়দা তোলার চেষ্টা হচ্ছে, বলে খোঁচা দিয়েছে তৃণমূল (TMC)।
স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগ নিয়ে চলতি সপ্তাহেই কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata Highcourt) কাছে তীব্র ভর্ত্সিত হয়েছে সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশন (School Service Commission)। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চাকরির দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন ২০১৪ সালে প্রাথমিক টেট (TET) উত্তীর্ণদের একাংশ। এই প্রেক্ষাপটে শনিবার ৩৪ তম দিনে পড়ল নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষকপদে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন।
আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থী প্রত্যুষা রায় জানিয়েছেন, আমাদের যেন পথে না বসতে হয়। স্কুলে যেতে চাই। আর এদিনই বিক্ষোভকারীদের পাশে দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করল বিজেপি (bjp)।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Mazumder) কথায়, শিক্ষকরা এভাবে পথে বাংলার জন্য লজ্জা। এভাবে বঞ্চিত করা রাখা হয়েছে।
২০১৬ সালে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগের জন্য SSC’র ফার্স্ট স্টেট লেভেল সিলেকশন টেস্ট হয়। আন্দোলকারীদের দাবি, ২০১৮ সালে প্রকাশিত মেরিট লিস্টে ১৪ হাজার জনের নাম ছিল। এখনও প্রায় ৩ হাজার জন চাকরি পাননি।
SSC উত্তীর্ণদের অভিযোগ, তাঁদের বঞ্চিত করে প্যানেলের পিছনে দিকে থাকা প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হয়। তাঁদের আরও অভিযোগ, অনুত্তীর্ণরা চাকরি পান।
আরেক আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীর কথায়, মেরিট লিস্টে পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুত দিয়েছিলেন, আমাদের অনুরোধ কথা রাখুন
চাকরির দাবিতে, ২০১৯-এর ফেব্রুয়ারি-মার্চে টানা ২৯ দিন প্রেস ক্লাবের সামনে চলে অনশন। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে অনশন তুলে নিলেও, কথা রাখেনি সরকার।
দাবি আদায়ে কয়েক মাস আগে, সেন্ট্রাল পার্কে টানা ১৮৭ দিন অবস্থান, বিক্ষোভ চলে। এদিন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, আমরা সাধ্যমতো আইনি সাহায্য করব। শুভেন্দুদার সঙ্গে কথা বলব। বিধানসভায় তুলে ধরা হবে।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর দাবি, পাল্টা উত্তর এসেছে শাসকশিবির থেকেও। তবে চাকরিপ্রার্থীদের সাফ কথা, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত চলবে আন্দোলন।