কলকাতা: হাইকোর্টে (Calcutta High Court) পুরভোট-মামলায়  হলফনামা জমা দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission)। হলফনামায় কমিশন উল্লেখ করেছে, “মহামারীর হাত থেকে ভোটারদের রক্ষা করতেই দফা ভিত্তিক ভোট। ৬ থেকে ৮ দফায় ভোট চায় রাজ্য। মে মাসের মধ্যে বাকি ভোট চায় রাজ্য।’’


নির্বাচন কমিশন (State Election Commission) জানিয়েছে, “নির্বাচন কমিশনের কাছে আছে ১৫ হাজার ৬৮৭ ইভিএম। কলকাতার (Kolkata) ভোটে ব্যবহার করা হবে ৭ হাজার ২১০টি ইভিএম। নির্ধারিত দিনে গণনা না হলে হাতে থাকবে ৮ হাজার ৪৭৭ ইভিএম।'' "দফাভিত্তিক গণনা না হলে পরের ভোটের জন্য ইভিএম (EVM) থাকবে না।'' হাইকোর্টে (Calcutta High Court) হলফনামায় জানাল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ’’ 


পুরভোট নিয়ে গত সপ্তাহে হাইকোর্টে কড়া প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। "কলকাতার নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়ে গেছে, বাকি নির্বাচন কবে হবে ?" রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চান প্রধান বিচারপতি। এপ্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি আরও জানতে চান, "ন্যূনতম কত দফায় এই ভোট করা হবে ? আপনারা ইভিএমের সংখ্যা জানিয়েছেন। তাহলে কত দফায় ভোট হবে জানাচ্ছেন না কেন ? বকেয়া ভোটের দিন ঘোষণা কি আপনাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব নয় ?" হাইকোর্টে কমিশন জানায়, রাজ্যের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে ভোটের দিন স্থির হয়। আদালতের তরফে রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য সরকারকে হলফনামা দিয়ে জানাতে বলা হয়েছে, বাকি যে পুরসভাগুলির ভোট বকেয়া রয়েছে, সেখানে তারা কবে ভোট করাতে চায় বা কী পরিকল্পনা রয়েছে। কত দফায় ভোট করাতে চায়। সেই নির্দেশের ভিত্তিতেই আজ হলফনামা পেশ করল কমিশন। 


এর আগে গত সপ্তাহে কমিশনের তরফে কলকাতা হাইকোর্টে যে হলফনামা জমা দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে যে, সব পুরসভার ভোট একসঙ্গে করাতে গেলে প্রায় ৩০ হাজার ইভিএম প্রয়োজন হবে। কিন্তু, কমিশনের হাতে এই মুহূর্তে ১৫ হাজারের থেকে বেশি কার্যকরী ইভিএম রয়েছে। এখানে হাইকোর্টের বিচারপতি জানতে চান, যখন অর্ধেকের বেশি ইভিএম রয়েছে, তখন দুই দফায় ভোট করাতে অসুবিধা কোথায়? তার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন হাইকোর্টে কমিশন জানায়, "৬ থেকে ৮ দফায় ভোট চায় রাজ্য।'' 


আরও পড়ুন: গ্রুপ ডি মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ খারিজ