সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: গ্রুপ ডি (Group D) নিয়ে সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ খারিজ হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। এই নির্দেশ খারিজ করল বিচারপতি হরিশ টন্ডন, রবীন্দ্রনাথ সামন্তর বেঞ্চ। এই মামলায় বিশেষ অনুসন্ধানকারী দল গঠন করল ডিভিশন বেঞ্চ।
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিত কুমার বাগের নজরদারিতে গড়া হল এই বিশেষ অনুসন্ধানকারীদল। এসএসসি-র (SSC) পক্ষে অনুসন্ধানকারী দলে রয়েছন আশুতোষ ঘোষ সহ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের (West Bengal Board of Secondary Education) সহ-সচিব(প্রশাসন) পারমিতা রায়। দলে হাইকোর্টের আইনজীবী অরুণাভ বন্দ্যোপাধ্যায়। ২ মাসের মধ্যে আদালতে রিপোর্ট দেবে বিশেষ দল। দলের সমস্ত ব্যয়ভার বহন করবে রাজ্য।
এদিনের শুনানিতে আদালত জানিয়েছে, আগামীকালের মধ্যে এসএসসি সমস্ত সুপারিশপত্র হাইকোর্টে জমা করবে। রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে এই সুপারিশপত্র জমা করতে হবে। এদিন বিচারপতি হরিশ টন্ডন বলেন, “নথি বলছে দুর্নীতি হয়েছে, তাই তদন্ত করে সত্য উদঘাটন প্রয়োজনীয়। ন্যূনতম অনিয়ম হয়ে থাকলেও, তদন্ত করতেই হবে। আদালত নীরব দর্শক হয়ে থাকতে পারে না।’’
গত ২২ নভেম্বর স্কুলে গ্রুপ-ডি কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় এবার CBI’কে দিয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। অর্থাৎ, নিয়োগের জন্য যে সুপারিশপত্রগুলি দেওয়া হয়েছিল, সেগুলি কে ইস্যু করেছিল? এর পিছনে কাদের হাত রয়েছে? কোনও দুষ্কৃতীচক্র আছে কি না? প্রাথমিকভাবে তা খোঁজখবর নিয়ে দেখবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা CBI এমনইটাই, নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার, স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এরপরই এসএসসি গ্রুপ ডি ‘দুর্নীতি’ মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। একইসঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশন ও পর্ষদকে নিয়োগ সংক্রান্ত সব নথি জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। সবদিক পর্যালোচনা করে সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ খারিজ করে দিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও পড়ুন: Calcutta High Court: ৬ থেকে ৮ দফায় ভোট চায় রাজ্য, হাইকোর্টে হলফনামা পেশ কমিশনের