কলকাতা: বাঁশদ্রোণীতে ফের রহস্যমৃত্যু। তিনতলার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার পচাগলা দেহ। একাই থাকতেন মৃত প্রৌঢ়। প্রতিবেশীদের অনুমান, ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন তিনি। অসুস্থতা, আত্মহত্যা, না কি অন্য কারণে মৃত্যু? তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 


বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে পচা গন্ধ পেয়েই সন্দেহ দানা বাঁধে পড়শিদের মনে। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে দরজা ভাঙতেই উদ্ধার হয় প পচাগলা দেহ। এক প্রৌঢ়ের রহস্যমৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বাঁশদ্রোণীর বিবেকানন্দ পার্ক এলাকায়।পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সিদ্ধার্থ রায়। একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন তিনি।


প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, ওই প্রৌঢ় ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন। কিন্তু গত চারদিন ধরে তাঁকে কেউ বাইরে বেরোতে দেখেননি। শনিবার সকালে প্রৌঢ়ের ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। এরপর দরজা ভেঙে খাটের ওপর থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় প্রৌঢ়ের পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘর থেকে উদ্ধার হয় দু’টি মদের বোতলও।


মৃতের আরেক প্রতিবেশী  সৌরভ জানিয়েছেন, পচা গন্ধ পাই, তারপরেই থানায় খবর দিই, পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করেছে। প্রতিবেশীদের অনুমান, ওই প্রৌঢ়  ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন। একা থাকত, কাজকর্ম সেরকম ছিল না, অবসাদে ভুগছিল। 


যদিও এবিষয়ে মুখ খুলতে চাননি মৃতের পরিবারের সদস্যরা। শারীরিক অসুস্থতা, আত্মহত্যা নাকি অন্য কোনও কারণে মৃত্যু? খতিয়ে দেখছে পুলিশ। শুক্রবার ভোর রাতে বাঁশদ্রোণীতেই এক মহিলার রহস্যমৃত্যু হয়। ফের রহস্যমৃত্যু একই এলাকায়। 


গতকালই বাঁশদ্রোণী থেকে এক মহিলার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। ভোররাতে ঐন্দ্রিলা ঘোষ নামে ৩৯ বছরের ওই মহিলাকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এরপর এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্‍সকরা।  পুলিশ সূত্রে খবর, ডিভোর্স হওয়ার পর ওই মহিলা একজনের সঙ্গে লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন। গত দু’বছর ধরে থাকছিলেন একসঙ্গে।  


ঘর থেকে কোনও সুইসাইড নোট না মিললেও মহিলার মোবাইলে ভয়েস রেকর্ডিং মিলেছে বলে পুলিশ সূত্রে দাবি। তাতে ওই মহিলা তাঁর মৃত্যুর জন্য কাউকে দায়ী না করলেও তিনি যে ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন, তা বলে গিয়েছেন। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মানসিক অবসাদ থেকেই ওই মহিলা আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।


উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে  নেতাজিনগরে ফ্ল্যাট থেকে এক তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল, বিশেষ বান্ধবীর সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং মানসিক চাপের জেরেই আত্মঘাতী হয়েছেন ওই  তরুণী।