কলকাতা : একের পর এক কোন্দল গেরুয়া শিবিরে। একদিকে দিলীপ ঘোষ-তথাগত রায়ের দ্বন্দ্ব চলছে, অন্যদিকে এবার বাগযুদ্ধে জড়ালেন সুকান্ত মজুমদার ও জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। "কে দল ছাড়ল তাতে কিছু এসে যায় না।", জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে এই মন্তব্য করেছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এবার তার পাল্টা জবাব দিলেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, "বিধানসভা উপনির্বাচনে ৩ কেন্দ্রে জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার পরই রাজ্য সভাপতি পদে ইস্তফা দেওয়া উচিত ছিল সুকান্ত মজুমদারের।"
নয়ের দশকের একাধিক বাংলা ছবির হিরো। ২০১৪-তে বিজেপি কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার আগে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৪ ও ২০১৯ - দু’টি লোকসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান। বিভিন্ন সময়ে দল পরিচালনা নিয়ে নেতৃত্বকে নানা প্রশ্নের মুখে ফেলেছেন জয়। শেষপর্যন্ত বিজেপি ছাড়ার সিদ্ধান্ত। জয় বলেছেন, ২০১৪ সালের ৬ মার্চ নরেন্দ্র মোদিকে দেখে আমি বিজেপিতে যোগদান করি রাহুল সিনহার হাত ধরে। আজ ২০২১ এর ৬ নভেম্বর, মোদিজিকে চিঠি দিয়ে বিজেপি থেকে সরে গেলাম। এই দল মানুষের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়েছে। আত্ম সমালোচনা করে না। তাই বিজেপি ছাড়ছি।
সূত্রের খবর, নরেন্দ্র মোদিকে পাঠানো ইমেলে জয় বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ২ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অ্যাপয়েন্টমেন্ট চেয়েও মেলেনি। অসুস্থতার সময়ে চিকিৎসা তহবিলের আবেদন জানালেও, সাড়া পাইনি। ২০১৭-তে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য করা হলেও, কিছুদিন পরে বাদ দেওয়া হয়। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তাও সরিয়ে নেওয়া হয়।
এই পরিস্থিতিতে গতকাল বিজেপি ছাড়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীকে ই-মেল করে সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি। আগামী দিনে জয় বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিতও দেন। যদিও রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তিনি বলেন, "কে দল ছাড়ল তাতে কিছু এসে যায় না। জয় বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ছিলেন না তখনও বিজেপি ছিল। ভবিষ্যতেও বিজেপি বিজেপির মতই থাকবে।"